প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৪ পিএম
মেরিন লা পেন ও জর্ডান বারদেল্লা ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ২৮৯ আসন চান
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) ৩৩.২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বামপন্থি দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর এনসেম্বল জোট ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
মেরিন লা পেন ও জর্ডান বারদেল্লা ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল
অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ২৮৯ আসন চান। আগামী রবিবার হবে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তবে
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থিদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে
চলেছে ফ্রান্স। ঝুলন্ত
পার্লামেন্ট হলে আরএনের পক্ষে তাদের অভিবাসন, কর কর্তন এবং
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
মাখোঁর এ আগাম নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল না। কিন্তু
নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিলে অনেকে তার সিদ্ধান্তকে জুয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এ
সিদ্ধান্তের উলটো ফলই পাচ্ছেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপরও ব্যাপক প্রভাব
ফেলেছে। পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে ১৯৯৭ সালের পর
এবারই সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষে এনআরের ৩৯ জন
পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) অর্ধেকের বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বামপন্থি নিউ
পপুলার ফ্রন্টের ৩২ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
আরএনের সাফল্যে ক্ষোভ ও হতাশা জানাতে প্যারিসে জমায়েত হয়ে
বিক্ষোভ করেছেন শত শত বামপন্থি ভোটার। দ্বিতীয় দফায় অন্যান্য দলের
ভোট টেনে নিউ পপুলার ফ্রন্টেরও আসন বাড়তে পারে। আরএনকে
ঠেকাতে ‘বৃহত্তর’ গণতান্ত্রিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন মাখোঁ।
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার ভোটে লড়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। এ ছাড়া নিবন্ধিত ভোটারদের ১২.৫ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাও এ দফায় লড়ার সুযোগ পান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পান, তিনিই জয়ী হন।
সূত্র : ল্য মন্টে