প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ২১:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ থেকে
২০২৩ সালের মধ্যে জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ধর্ম, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে রাখা
কয়েক হাজার গ্রামের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। চীনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে উইঘুর মুসলমানদের
সংস্কৃতিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। বেশ কয়েকটি গ্রামের নাম থেকে
‘সুলতান’ বা ‘শ্রিন’ (মাজার) বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব শব্দের বদলে খুশি বা সম্প্রীতি প্রকাশ
করে এমন নাম দেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশ্লেষকরা চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের
ওয়েবসাইটে ঢুকে গত ১৪ বছরে জিনজিয়াং অঞ্চলের গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ
করেছেন। তারা দেখেছেন, ওই অঞ্চলে প্রায় ২৫ হাজার গ্রামের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ গ্রামের
নাম বদলে ফেলা হয়েছে। যে নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল জাতিগত।
প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নাম ছিল উইঘুরদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
চীনে প্রায় দুই কোটি মুসলমানের বসবাস। আনুষ্ঠানিকভাবে চীন একটি ধর্মনিরপেক্ষ
দেশ। চীন সরকার সব সময় দাবি করে, সে দেশে যার যার ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
তবে সরকার যতই দাবি করুক, গত কয়েক বছরে দেশটিতে ধর্মভিত্তিক দমনপীড়ন বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার উইঘুর সম্প্রদায়ের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উইঘুরদের ধর্ম, ইতিহাস বা সংস্কৃতি সম্পর্কিত নাম অনুসারে জিনজিয়াংয়ের শত শত গ্রাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এখন এ মুসলিম সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি মুছে ফেলতে এ নামগুলো পরিবর্তন করছে চীন সরকার। চীনে প্রায় ২০ মিলিয়ন উইঘুর জনগোষ্ঠী আছে। এদের বেশিরভাগ দেশটির উত্তর-পশ্চিমে জিনজিয়াং, কিংহাই, গানসু এবং নিংজিয়া অঞ্চলে বাস করে।
সূত্র : বিবিসি