প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১০:৩৫ এএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১০:৫৪ এএম
আগ্রাসন থেকে সুরক্ষায় চুক্তি করে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন একটি নতুন অংশীদারত্ব চুক্তি সই করেছেন। এতে তারা
আগ্রাসনের মুখোমুখি হলে একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেছেন।
পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশ দুটির অচলাবস্থা
বাড়তে থাকার মধ্যে এই চুক্তি হলো। চুক্তির বিস্তারিত খুঁটিনাটি তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট
জানা যায়নি। তবে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এটিই সবচেয়ে
শক্তিশালী চুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশের নেতাই এই চুক্তিকে তাদের
সম্পর্কের বড় ধরনের উন্নতি বলে বর্ণনা করেছেন। এর আওতায় আছে নিরাপত্তা, বাণিজ্য থেকে
শুরু করে বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক ও মানবিক সব ধরনের বন্ধন।
কিম বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ বন্ধুত্ব
ছিলই। আর এখন যে চুক্তি হলো তা তাদের মধ্যকার এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী চুক্তি।
এর ফলে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক মৈত্রীবন্ধনের পর্যায়ে পৌঁছে গেল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে পুরোপুরি সমর্থনের অঙ্গীকার করেছেন কিম। অন্যদিকে পুতিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তিকে যুগান্তকারী দলিল আখ্যা দিয়েছেন। এতে সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশেরই আগ্রহের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পুতিনকে রাজকীয় অভ্যর্থনা উত্তর কোরিয়ার
২৪ বছর ধরে আছেন রাশিয়ার ক্ষমতায়। দুই
যুগের রাজনৈতিক জীবনে এবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া সফরে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির
পুতিন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে পুতিনকে বহনকারী বিমান পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান
বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে রুশ প্রেসিডেন্টকে রাজকীয়
অভ্যর্থনা জানান উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন। পুতিনের আগমন উপলক্ষে পিয়ংইয়ংয়ের
সড়কগুলোকে তার ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়।
উড়োজাহাজ থেকে নেমে প্রথমেই কিম জং-উনের
সঙ্গে হাত মেলান পুতিন, এরপর জড়িয়ে ধরেন। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা
দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এলিট শাখা মাউন্টেড সোলজার্সের একটি দল দুই
নেতাকে এসকর্ট করে বিমানবন্দরের টারমাকে অপেক্ষমাণ লিমোজিন গাড়ির দিকে নিয়ে যায়।
তারপর পুতিন এবং কিম একই গাড়িতে চেপে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন কুমসুসান
গেস্ট হাউসে যান। সফরকালে সেখানেই থাকার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এদিকে রাশিয়াকে
সতর্ক করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা এই সফরের বিভিন্ন বিষয়ে কড়া নজর রাখছে বলে জানা
গেছে।
অনেকেই মনে করছেন, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য
ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতেই পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর। এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে
আশঙ্কা করা হচ্ছে, কিম জং-উনকে পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে পুতিন। অন্যদিকে মোড়ল
রাষ্ট্রগুলোর ধারণা, সেসব অস্ত্র পরবর্তীকালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করতে
পারে মস্কো।