প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪ ২২:১৯ পিএম
প্রকৃতির রুদ্ররোষ যেন সিকিমকে ছাড়ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছেই। থামার কোনো চিহ্ন আকাশের দিকে তাকিয়েও মিলছে না। সিকিমের অবকাঠামো ও জনপদ এই বৃষ্টিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৪ জুন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি ও ভূমিধসের পৃথক ঘটনায় ১৬ জুন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের কারণে অনেক বাড়িঘর ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, খাদ্য সরবরাহ এবং মোবাইল নেটওয়ার্কও বিঘ্নিত হয়েছে।
বিশেষত পূর্ব সিকিমের ডিকচুতে চলাচলের রাস্তা ভেসে গিয়েছে। এলাকার বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে, দক্ষিণ সিকিমের লিঙ্গি-পিয়ং সংযোগকারী প্রধান সড়কটি বৃষ্টির আঘাতে সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়ে গেছে। সেখানে এখন শুধু বিচ্ছিন্ন কংক্রিট।
তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রতিটি বাড়িতে নদীর জল ঢুকেছে, কোথাও কোথাও পলিও জমেছে ঘরের ভেতরে। সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের মতে, ১৫ বিদেশি-নাগরিক সহ ১২০০ জনেরও বেশি পর্যটক ভূমিধসের কারণে আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে থাইল্যান্ডের ২ জন, নেপালের ৩ জন এবং বাংলাদেশের ১০ জন পর্যটক রয়েছে। পর্যটকদের বাঁচাতে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করছে সিকিম প্রশাসন। প্রশাসন সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে, তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এয়ারলিফট করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে এয়ারলিফটিং ছাড়া পর্যটকদের সাহায্যের আর কোনও উপায় নেই। একইসঙ্গে পুরো ঘটনার দিকে প্রশাসন নজর রাখছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি মিন্টোকগাংয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। পার্বত্য রাজ্য সিকিম ভূমিধসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেখানে আটকা পড়া পর্যটকদের তাদের নিজ নিজ জায়গায় থাকতে এবং ঝুঁকি নেওয়া এড়াতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া