প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪ ২০:০৯ পিএম
সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনের বৈঠক শেষ হয়েছে। ১৬ জুন সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী অধিকাংশ দেশই চলমান যুদ্ধের সহিংসতার দায় রাশিয়ার বলে স্বীকার করেছে। শান্তি সম্মেলনের বৈঠকে তারা একটি শান্তি সমঝোতা তৈরি করেছে। বৈঠকে উপস্থিত ৯০টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা অংশ নেয়। সমঝোতায় নেদারল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেনের মতো দেশ সাক্ষর করলেও ভারত, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সাক্ষর করেনি।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই শান্তি সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাশিয়ার অন্যতম বড় সহযোগী চীনের কোনো প্রতিনিধিও এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি। সম্মেলনে সৌদি আরব জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে ইউক্রেনকে বড় ঝুঁকি নিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের সমঝোতার পথে হাটতে হবে। রাশিয়ার সহযোগী আফ্রিকান দেশ কেনিয়া মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে।
সম্মেলনে সাক্ষরিত চুক্তিটিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দখলকৃত জাপোরিজঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র এবং আজোভ সমুদ্র বন্দর অবিলম্বে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে আসবে।
সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসন, শিশু নির্যাতন ও অপহরণের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ রাশিয়ার ভূমি দখলের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাট জানান, 'আমরা শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছি। সম্মেলনে অনেকেই হয়তো আমাদের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত নন। কিন্তু আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, শান্তি স্থাপনের জন্য আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই'।
ধারণা করা হয়েছিল, সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে বিপরীত পরিকল্পনা সিদ্ধান্ত গোপনে নেয়া হবে। তবে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহেমার জানিয়েছেন, 'কোনো সিদ্ধান্তই গোপনীয় রাখা হবে না'
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য এই সম্মেলনকে 'সময়ের অপচয়' বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: বিবিসি