প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৮:০৯ পিএম
জেফ বেজোস ও তার বান্ধবী লরেন সানচেজ। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস জীবদ্দশায় নিজের সম্পদের সিংহভাগ দান করে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। শনিবার (১২ নভেম্বর) সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বাসনা প্রকাশ করেন। তবে কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তা দান করতে চান, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
সিএনএন জানায়, জেফ বেজোসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ বিলিয়ন ডলার। দাতব্য প্রকল্পে অর্থ দানের জন্য তার সুনাম রয়েছে। তবে বিশ্বের কয়েকশ ধনী ব্যক্তি জীবদ্দশায় নিজেদের সম্পদের একটা বড় অংশ দান করার জন্য সম্প্রতি একটি প্রতিশ্রুতিতে সই করেন, যেখানে সই করেননি বেজোস। এ কারণে অনেকে তার সমালোচনা করেন।
এ পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রকৃতি রক্ষায় ১০ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন জেফ বেজোস। ‘আর্থ ফান্ড’ নামের একটি সংস্থায় তিনি এ অর্থ দান করেন, তিনি নিজেই যেটার নির্বাহী চেয়ার।
লরেন সানচেজ নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বর্তমানে যৌথভাবে কাজ করেছেন জেফ বেজোস। সানচেজ একসময় সাংবাদিকতা করলেও বর্তমানে দানবীর হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন। ২০১৯ সালে সানচেজের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন বেজোস। ২০২০ সালে ‘কারেজ অ্যান্ড সিভিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা করে আলোচনায় আসেন সানচেজ-বেজোস জুটি।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহসী অবদানের জন্য এ পর্যন্ত তিনজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার চলতি বছরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এবার পুরস্কার পেয়েছেন বিখ্যাত মার্কিন কান্ট্রি সংগীত তারকা ও দানবীর ডলি পার্থন। পুরস্কার বাবদ ১০০ মিলিয়ন পাবেন পার্থন।
২০২০ সালে কারেজ অ্যান্ড সিভিলিটি অ্যাওয়ার্ড পান স্বনামধন্য স্প্যানিশ পাচক জোসে আন্দ্রেস। আন্দ্রেস পুরস্কারের কিছু অংশ সম্প্রতি ইউক্রেনের শিশুদের খাবারের জন্য দান করেছেন। ২০২১ সালে এ পুরস্কার পান জলবায়ুকর্মী ও সিএনএনের কন্ট্রিবিউটর ফন জোনেসকে।
বান্ধবী লরেন সানচেজকে পাশে রেখে ওয়াশিংটনের নিজের বাসায় শনিবার সিএনএনের সাংবাদিক ক্লোয়ে মেলাসের সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন জেফ বেজোস। এতে রাজনৈতিক আলোচনা, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা, শুধু নারী ক্রদের নিয়ে সানচেজের মহাশূন্য ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন বেজোস।
বেজোস বলেন, ‘আমার দাবত্য পরিকল্পনা নিয়ে সানচেজের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি এতে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।’
কথা টেনে নিয়ে পাশে থাকা সানচেজ বলেন, ‘এবার ডলি পুরস্কার পেয়েছেন। তার মতো ধনী ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ায় সবাই হাসছেন। কিন্তু লোকে জানে না, তিনি কতটা দাতব্য কাজ করেন। আরও কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তার একমাত্র ইচ্ছ। তাই তাকেই এবার পুরস্কার দেওয়াটা সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, নিজের হাতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ২০২১ সালে সরে দাঁড়ান জেফ বেজোস। প্রতিষ্ঠানটিতে তার বর্তমান মালিকানা প্রায় ১০ শতাংশ। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ব্লু অরিজিনের কর্ণধারও তিনি।