ভারত
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪ ২০:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের লোকসভার অলিখিত নিয়ম, ‘জিসকা স্পিকার, উসকি সরকার’ (যে দলের স্পিকার, কেন্দ্রে সে দল ক্ষমতায়)। টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে মোদিকে নির্ভর করতে হয়েছে শরিক দলের ওপর। জোট সরকারের মোদি ৩.০-এর ক্ষেত্রে কি সেই নিয়ম বজায় থাকবে?
জটিল পরিস্থিতি দেখে এমন প্রশ্ন অনেকের। ৩.০ মন্ত্রিসভা বণ্টনে মোদির ‘বিগ ৪’ অর্থাৎ অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমণ ও এস জয়শঙ্কর তো বটেই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও থেকেছে বিজেপির কাছে। স্পিকারও কি বিজেপিরই হবেন? নাকি শরিকের চাপে বিজেপিকে বাছাই করতে হবে অন্য কাউকে?
এনডিএতে বিজেপির
পরই সবচেয়ে বেশি সংসদ সদস্য টিডিপির। টিডিপির উপস্থিতি ১৯৯৯ সালের কথা মনে করাচ্ছে।
ওইবার অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারের পতন হয় মাত্র এক ভোটের জন্য। ২৫ বছর পর টিডিপিই স্পিকারের
পদে নিজেদের প্রার্থীকে নিয়োগ করতে চাইছে। সেই চন্দ্রবাবু, সেই বিজেপি। ইতিহাস এভাবেই
ফিরে ফিরে আসে।
রাজনৈতিক মহলের
অনুমান, এনডিএ সরকারে ভবিষ্যতে যদি চন্দ্রবাবু নাইডু ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে হাত মেলায়,
সেক্ষেত্রে স্পিকার পদ তাদের হাতে থাকলে সমস্যায় পড়বে বিজেপি। বোধহয় এ কথা মাথায় রেখেই
স্পিকার পদ নিয়ে টিডিপির সঙ্গে এখনও চলছে সমঝোতা। বিজেপির তরফে স্পিকার পদপ্রার্থী
হিসেবে দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরীর নাম শোনা যাচ্ছে।
টিডিপিও স্পিকার
পদের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। নীতিশ কুমারও রয়েছেন এই দৌড়ে।
টিডিপি বা জেডিইউ স্পিকার পদে নিজেদের প্রার্থী রেখে জোট সরকারে ‘ইনশিওরেন্স’ করার
চিন্তা করছে। এভাবে শরিক দলের কাউকে বিজেপি নিজ কাতারে নেওয়ার চেষ্টা করলে দলবিরোধী
আইনে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবেন স্পিকার।
নতুন সংসদ সদস্যদের
শপথগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ১৮ ও ১৯ জুন। ২০ জুন স্পিকার নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।