প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ২৩:৩০ পিএম
নীতিশ কুমার।
পল্টু কুমার বলে অনেকেই তাকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। পাঁচ বছর আগেই ভারতের গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স থেকে টুপ করে সরে যোগ দিয়েছিলেন এনডিএ জোটে। গত বছর যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে। কিন্তু গত জানুয়ারিতে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে আবার এনডিএ জোটে যোগ দেন তিনি। বারবার পল্টি নেওয়া নীতিশের ভারতের রাজনীতিতে তবুও রয়েছে আলাদা ভূমিকা।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিধায় নীতিশ কুমার কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি, কংগ্রেস এবং শারদচন্দ্র পাওয়ারের এনসিপি তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিরোধী ইন্ডিয়া জোট বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) প্রধান নীতিশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দিয়েছিল, এমন দাবি করেছেন দলটির নেতা কেসি তিয়াগি। ৮ জুন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিয়াগি এও নিশ্চিত করেন, নীতিশ কুমারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আর কোনো সুইচ (পল্টি) আসবে না।
পল্টিবাজ হিসেবে তাকে আক্রমণ করা হলেও সেখানে হাস্যরস থাকে কমই। এ থেকে বোঝা যায় ভারতের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানেই রয়েছেন। নীতিশের দল ছাড়া বিজেপি বিহার রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনীতিতে টিকতে পারত না। নীতিশ কখনও কখনও রাজনৈতিক প্রভাব হারিয়েছেন বলে মনে হয়েছে অবশ্যই। আসল কথা, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক এজেন্ডা সামলে আসছেন। এবারের নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর নীতিশ কুমার তার রাজনৈতিক ট্রাম্প কার্ডটি ভালোভাবেই চালিয়েছেন। তার দল পেতে যাচ্ছে দুটি মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি আবার এনডিএ-তে ফিরে এসে দেখিয়েছেন এনডিএ জোটে তার গুরুত্ব কতটা। বলেছেন আর পাল্টাবেন না জোট। কিন্তু রাজনীতিতে প্রতিশ্রুতির শেষ নেই। পরিস্থিতি সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে। এ কথা নীতিশ কুমার ছাড়া আর কে ভালো জানে। সূত্র : এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস