প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ২৩:২৩ পিএম
চন্দ্রবাবু নাইডু।
দিল্লিতে যেন অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। পঁচিশ বছর আগে টিডিপি অটল বিহারি বাজপেয়িকে সমর্থন দিয়ে জোট সরকারের শরিক হয়। পঁচিশ বছর পর দিল্লিবাড়িতে ফের জোট সরকারের আবির্ভাব। আর এই পঁচিশ বছর পরেই জোট সরকারের অন্যতম কিং মেকার চন্দ্রবাবু নাইডু ভারতীয় রাজনীতির স্পটলাইটে ফিরলেন।
সমঝোতা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় চারটি দপ্তর পেতে যাচ্ছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। জোট সরকারে চন্দ্রবাবুর টিডিপি মোদিকে নিঃশর্ত সমর্থন দিলেও লোকসভা স্পিকারের পদটির জন্য মৌখিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। এনডিএ বৈঠকে সরাসরি এ দাবি তিনি করেননি। এখন পর্যন্ত তিনজন শরিক লোকসভা স্পিকারের পদের জন্য তদবির চালাচ্ছে। এনডিএ সূত্রের খবর, নীতীশ ও চন্দ্রবাবুর পাশাপাশি এনডিএ-র শরিক চিরাগ পাসোয়ানও এই পদ পেতে আগ্রহী। ফলে কীভাবে শরিকদের তুষ্ট করা হবে, তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মোদি-শাহদের।
চন্দ্রবাবু লোকসভা স্পিকারের পদটির কৌশলগত সুবিধা ভালোভাবেই অনুধাবন করেছেন। লোকসভা স্পিকার পদটি প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব রাখতে পারে। নিয়ম অনুসারে ক্ষমতাসীন দলের কেউ পদটি পেয়ে থাকেন। লোকসভায় কে কী প্রশ্ন করবেন, কারা অংশ নেবেন- এসব প্রশাসনিক ক্ষমতা তার কাছে থাকে। তেলেগু দেসাম পার্টির রাজনীতিকদের মতে, নাইডু জোট সরকারে লোকসভা স্পিকারের কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরও বিধানসভায় বিজেপি কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী জোটকে সামলানোর বিষয়ে দলটি আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে। এদিকে টিডিপি ১৯৯৯ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেবার নাইডু লোকসভা স্পিকারের পদ দাবি না করলেও এবার করেছেন।
শেষ কথা বোধহয় তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারটিই। এনডিটিভিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি অভিজ্ঞ এবং এই দেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখেছি।’ অতীতের অভিজ্ঞতা এবং ভারতের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করেই চন্দ্রবাবু হয়তো এমন দাবি করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্য সুবিধা দেওয়ার রাজনৈতিক ইচ্ছেটাও বোধহয় বিবেচনায় রয়েছে।