প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
(বাঁ দিকে) নবীন পট্টনায়ক ও ভিকে পান্ডিয়ান। ছবি : সংগৃহীত
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে বিজেডি। আড়াই দশক পরে মসনদ খুইয়েছেন নবীন পট্টনায়েক। এবার রাজনীতি ছাড়লেন ওড়িশার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে ওঠা ভি কার্তিকেয়ান পান্ডিয়ান। নবীনের ছায়া পান্ডিয়ান বিজেডির বিপর্যয়ের পরই জানিয়ে দিলেন তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। বিজেডি নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন পান্ডিয়ান।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় এই খবর জানান তিনি। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ওড়িশায় যেদিন এসেছিলাম সেদিন থেকেই এখানকার মানুষের বিপুল ভালোবাসা পেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কাজ করার। বারো বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যোগ দিই। তার সঙ্গে কাজ করাটা এক সম্মানের বিষয়। তার কাছ থেকে যে অভিজ্ঞতা, যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা সারা জীবনের সম্পদ। তার প্রত্যাশা ছিল ওড়িশার মানুষের প্রতি তার দর্শনকে বাস্তবায়িত করা। আমরা দুজনে মিলে অনেক মাইলফলক পেরিয়েছি।’
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ পান্ডিয়ানের? সেপ্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘আমি আবার বলছি, আমি রাজনীতিতে এসেছি আমার পরামর্শদাতা নবীন পট্টনায়েককে নির্বাচনের আগে সাহায্য করার জন্য। আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পদ বা ক্ষমতার জন্য। সেজন্য আমি বিজু জনতা দলের প্রার্থীও ছিলাম না, কোনো পদেও ছিলাম না। আমার রাজনীতিতে আসার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল নবীনবাবুকে সাহায্য করা। আর এবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার।’
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গোটা দেশে বিজেপি তথা এনডিএর ফল প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের পাশাপাশি ওড়িশাতেও দারুণ ফলাফল করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভাতেও বিপর্যস্ত বিজেডি। নবীন পট্টনায়েকের রাজনৈতিক কেরিয়ার কার্যতই গভীর সংকটে। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান রাজনীতিকের ছায়া হয়ে ওঠা পান্ডিয়ানও ছাড়লেন দল তথা সক্রিয় রাজনীতিই। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন