প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪ ১৫:২৮ পিএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
গত সপ্তাহে ইসরায়েলে বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলে বোমার একটি বড় চালান স্থগিত করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস)। গাজার দক্ষিণাঞ্চের শহর রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে পারে তেল আবিব এমন শঙ্কা থেকে এ চালান স্থাগিত রাখার দাবি করা হয়েছে। রাফার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ওয়াশিংটন যে সব মানবিক শর্ত দিয়েছিল তা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি বলেও জানান ইউএসের এক কর্মকর্তা। তবে এসব বিষয়ে ইসরায়েলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বক্তব্য দেওয়া ওই কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া পার্টনার সিবিএস নিউজ।
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে গেল অক্টোবরে শুরু হয় যুদ্ধ। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিপন্ন মানুষের জন্য রাফা হয়েই মূলত মানবিক সহায়তা পৌঁছে আসছে। বিকল্প ‘নিরাপদ’ জায়গা না থাকায় এ শহরে আশ্রয় নিয়েছে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি।
মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে রাফায় অভিযান চালানোর আগের অবস্থা থেকে সরেনি ইসরায়েল। রাতভর স্থল ও আকাশ পথে বোমা হামলা চালানোর পর মিসরের সীমান্ত ঘেঁষা রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তেলআবিব। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই ক্রসিং বন্ধ ছিল।
এর আগে সোমবার রাফার বাসিন্দাদের শহরের পূর্বাংশে ‘সম্প্রসারিত মানবিক অঞ্চলে’ সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। হামাস যোদ্ধা ও তাদের ব্যবহৃত অবকাঠামোগুলো ধ্বংসে ‘সীমিত পরিসরে’ সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে বলেও দাবি করছে দেশটি।
তবে এসবের মধ্যেও কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোর প্রচেষ্টা চলছে। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েল ও হামাস আবার আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, রাফায় জোরদার স্থল অভিযানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ শহরটিতে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কৌশলগত পরামর্শকারী গ্রুপের মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। রাফার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য তারা কীভাবে মানবিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করবে সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গাজার অন্য এলাকাগুলোর মতো না করে সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে ভিন্নতর কৌশল গ্রহণ নিয়েও কথা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ইসরায়েলের নেতারা সেখানে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু আমরা অস্ত্রের চালান পাঠানোর প্রস্তাব যাচাই করে দেখছি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা জানান, যাচাইয়ের অংশ হিসেবে গেল সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করা হয়েছে। এ চালানে ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কিলোগ্রাম) ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ছিল।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রাণ গেছে ১২০০ জনের। এ ছাড়া জিম্মি করা হয়েছে ২৫২ জন ইসরায়েলিকে।
সূত্র : বিবিসি