× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রওশন জামিলকে মনে পড়ে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪ ১১:০৮ এএম

রওশন জামিল।

রওশন জামিল।

সময় কত দ্রুত যায়! ২২ বছর পেরিয়ে গেল দেশের সংস্কৃতির আঙিনার উজ্জ্বল নক্ষত্র রওশন জামিল চলে গেলেন। ২০০২ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি। আজ রওশন জামিলের জন্মদিন। ১৯৩১ সালের মে ঢাকার রোকনপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় লক্ষ্মীবাজার সেন্ট ফ্রান্সিস মিশনারি স্কুলে। পরে তিনি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেন।

শৈশবেই রওশন নাচের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নৃত্যানুশীলন শুরু করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর ওয়ারী শিল্পকলা ভবনে নাচের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণকালে প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী নৃত্যকলার শিক্ষক প্রয়াত গওহর জামিলের সঙ্গে তার পরিচয় থেকে প্রেম হয়। গওহর ধর্ম বদলে মুসলিম হওয়ার পর ১৯৫২ সালে তাকেই বিয়ে করেন রওশন জামিল। তারা ছিলেন দুই ছেলে তিন মেয়ের জনকজননী।

এদেশে নৃত্যশিল্প জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে শিল্পীযুগল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দম্পতি মিলে ১৯৫৯ সালে রাজধানীর স্বামীবাগে প্রতিষ্ঠা করেন নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রজাগো আর্ট সেন্টার’। সেটি এখনও চলমান। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এখানে নাচের ওপর শিক্ষা নিচ্ছে।

নৃত্যশিল্পী হলেও একজন অভিনেত্রী হিসেবও রওশন জামিল সর্বজনশ্রদ্ধেয়। এ দেশে যখন ছেলেদের মেয়ে সেজে মঞ্চে অভিনয় করতে হতো, সেই তখনই (১৯৫২ সালের দিকে) রওশন জামিল জগন্নাথ কলেজে মঞ্চায়িত শরৎচন্দ্রেরদেবদাস’ নাটকে অভিনয় করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেরও মডেল হন।

আর ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনেরক্ত দিয়ে লেখা’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রওশন জামিলের অভিনয়জীবন শুরু হয়। বিটিভিরঢাকায় থাকি’ এবংসকালসন্ধ্যা’ ধারাবাহিক নাটকের অভিনয় তাকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছে।

১৯৬৭ সালে আরব্য রূপকথাআলিবাবা চল্লিশ চোর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন রওশন জামিল। বাকিটুকু ইতিহাস। চলচ্চিত্রে অভিনয়ে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। অভিনেত্রী হিসেবে নতুন একটি স্টাইল নির্মাণ করেন। তাই সবার মধ্যে থেকেও তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। কোমলকঠিন সব চরিত্র দিয়েই তিনি দর্শকের মন মাতিয়েছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে গোরী, গীত কাঁহি সংগীত কাঁহি (উর্দু), মনের মতো বউ, জীবন থেকে নেয়া, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্য সংগ্রাম, গোলাপী এখন ট্রেনে, আবার তোরা মানুষ , ওরা ১১ জন, মাটির ঘর, সূর্য দীঘল বাড়ী, দেবদাস, রামের সুমতি, জননী, নয়নমণি, জীবন মৃত্যু, মিস ললিতা, নদের চাঁদ, মাটির কোলে, বাঁধনহারা, দহন ইত্যাদি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আগামী, পোকামাকড়ের ঘরবসতি লালসালু অন্যতম।

সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য রওশন জামিল দীর্ঘ কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, টেনাশিনাস পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, তারকালোক পুরস্কার। নৃত্যে তিনি ১৯৯৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা