প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ২১:২১ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ২১:৫১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ডেঙ্গুতে নিজের মায়ের মৃত্যুশোক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি সভায় চার দশকের বেশি সময় আগে মায়ের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮০ সালে ডেঙ্গুতে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। মাত্র তিন দিনের জ্বরে আমার মা মারা যান। তখন আমরা ডেঙ্গু বিষয়েও এতটা জানতাম না। পরে আমি বুঝলাম আমার মা ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এই ভাইরাসে আমার মায়ের মতো আর কারও মা যাতে না হারায়, সেজন্য আমি অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওই সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং নাগরিক সমাজ ও পরিবার সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যেকোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সকলের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা গেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফলতা আসবে।’
স্যালাইন সংকটের বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে যাতে স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে, সেজন্য যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এজন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গু শনাক্তকরণে দেশীয় কিট উদ্ভাবনকে সাধুবাদ জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে এই কিট অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সহজলভ্যভাবে ও স্বল্প খরচে ব্যাপকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেবে।’
ব্র্যাক চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এন্টোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক ডা. মালা খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।