প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্প বাস্তবায়নে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি-এর সঙ্গে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দ্রুতগতিতে বাড়ছে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ। বর্তমানে দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ। এসব রোগীর মধ্যে সচেতনতা তৈরি, বিনামূল্যে নানা চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে রবিবার (৫ মে) আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি-এর সঙ্গে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে। ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’ শিরোনামে ওই স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার।
সমঝোতা চুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. বিশ্বজিত ভৌমিক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের ‘প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ মনোনীত হওয়া উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ নামের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন, জাইকা ও আইএফআইসি ব্যাংকের পাশাপাশি বেশ কিছু দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।
এই প্রকল্পের মোবাইল ডায়াবেটিস সেন্টারের মাধ্যমে দেশব্যাপী ডায়াবেটিসবিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা, দেশের ১০ জেলায় ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের ঝুঁকি নির্ণয় ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান, গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে এক লাখ মানুষের ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পাশাপাশি চার হাজার ডায়াবেটিস রোগীকে বিনামূল্যে শারীরিক চেকআপ, ল্যাব টেস্ট ও চিকিৎসা প্রদান এবং চিকিৎসায় ইনসুলিন প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশে প্রথম ডায়াবেটিস ম্যাপিং তৈরি করা হবে। স্থানীয় ডায়াবেটিক সমিতি, সিভিল সার্জেন অফিস, স্থানীয় প্রশাসন ও মেয়র/চেয়ারম্যান যৌথভাবে প্রকল্পটি পরিচালনা করবে।