প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ফাইজারের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয় ও চতুর্থ) টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শিগগির শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এজন্য ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগির টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং এর বেশি বয়সি, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সি, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি) ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল। পরে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ফাইজার আরটিইউ ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নয়াবাজারে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণস্বরূপ ভ্যাকসিনের নাম এবং তারিখ উল্লেখ করে টিকা কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে দিতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করে সঙ্গে আনতে হবে টিকা কার্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পূর্বনির্ধারিত উপায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের রিপোর্ট দিতে হবে।