প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২২ পিএম
সোনারগাঁও হোটেলে ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি নিয়ে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ
অ্যাসোসিয়েশন অব ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনস (বামোস) এর আয়োজনে ষষ্ঠবারের
মতো ‘বাংলাদেশ কনফারেন্স অন ওরাল
এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর
সোনারগাঁও হোটেলে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারা দেশ থেকে তিন শতাধিক ম্যাক্সিলোফেসিয়াল
সার্জন ও বিভিন্ন ডিসিপ্লিন চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।
কনফারেন্সে
ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারির বিভিন্ন শাখা যেমন ট্রমা, মুখের ক্যান্সার, রিকন্সট্রাকশন
ও এসথেটিক সার্জারি নিয়ে ৫০টির বেশি সায়েন্টিফিক পেপার উপস্থাপন করা হয়। দুটি প্লেনারি
সেশনে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞ সার্জনদের সাথে জটিল রোগ বিষয়ে নবীন সার্জনদের
মত বিনিময় হয়।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে বামোসের অফিসিয়াল নিউজ লেটার ‘দ্য ফেস’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সায়েন্টিফিক কনফারেন্স শেষে
নবনির্বাচিত বামোসের নির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের
(বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বামোসের দাবি ম্যাক্সিলোফেসিয়াল ইনস্টিটিউট
স্থাপনে সহয়তার আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. টিটু
মিয়া রুগীদের বিদেশ যাত্রা রোধ ও হেলথ ট্যুরিজমে ডাক্তাদের ভূমিকা রাখার আহবান করেন।
বাংলাদেশ
ডেন্টাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল
ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনদের জন্য পদ সৃজনে সহয়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বামোসের
সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইসমত আরা হায়দার লিটা বলেন, বাংলাদেশ কনফারেন্স অন ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল
সার্জারির জাতীয় সম্মেলন শেষে আগামী বছর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জানদের
নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করব। গতবারের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ১৭টি দেশের প্রতিনিধিরা
এসেছিলেন। সামনের বছর আরও বেশি দেশের প্রতিনিধি আসবেন ও নবীন সার্জনদের গুণগত মানোন্নয়নে
অবদান রাখবে বলে আশা করছি।
বামোসের
সাধারণ সম্পদাক ডা. এস এম আনোয়ার সাদাত বলেন, এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণদের মধ্যে দিয়ে
ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনদের জ্ঞানের পরিধি আরো বাড়বে। নতুন সার্জনরা বেশি উপকৃত হবেন।
অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সার্জনরা সারা দেশে মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসার উন্নয়নে আরও
বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।
দিনব্যাপী বিভিন্ন পেপার উপস্থাপনার পর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।