প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৯ পিএম
মশা। ফাইল ফটো
ভারী বৃষ্টিপাত, থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনও উত্তপ্ত আবহাওয়া- এমন পরিবেশ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের সহায়ক বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। এর ফলে সহসাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলেও মত দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এই আবহাওয়া এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য খুবই উপযোগী। এমন সময় উড়ন্ত মশা না মারতে পারলে সহজে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে না। সিটি করপোরেশনের উচিত উড়ন্ত মশা নিধনে মনোযোগ দেওয়া। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে এডিস মশার উপদ্রব কমে আসবে।
এদিকে ডেঙ্গুতে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬৭ জনে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ১৫ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছে। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ৩ হাজার ৮১৯ এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪৪৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৭৭ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭১ হাজার ৪২৬ এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ হাজার ২৫৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যায়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।