প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২১:২২ পিএম
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৩ পিএম
ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সোসাইটি ফর মেডিকেল ভাইরোলজিস্টস আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত
ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় মশা নিধনের পাশাপাশি ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের তাগিদ দিয়েছেন ভাইরোলজিস্টরা। বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সোসাইটি ফর মেডিকেল ভাইরোলজিস্টস আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।
ভাইরোলজিস্টরা বলেন, বিশ্বে দুটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন রয়েছে। যেগুলো বিশ্বের প্রায় ২০টির মতো দেশে অনুমোদন পেয়েছে। ভ্যাকসিনগুলোর ডেঙ্গু প্রতিরোধ সক্ষমতা ৮০ শতাংশের ওপরে এবং ৯০ শতাংশ ভ্যাকসিনপ্রাপ্ত ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি কর্তৃক প্রস্তাবিত দুটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আছে। বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিনগুলোর প্রয়োগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে।
সোসাইটি ফর মেডিকেল ভাইরোলজিস্টের সহসভাপতি এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর হার বৃদ্ধি ও রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার একটি কারণ হতে পারে- অতীতের তুলনায় ঘন ঘন নতুন ডেঙ্গু সেরোটাইপের পুনরাবির্ভাব হওয়া। এ কারণে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সিজনাল ফ্লু রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই জনগণের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হচ্ছে, যেকোনো ধরনের জ্বর হলে অবহেলা না করা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি করোনা অতিমারির অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের যেকোনো ভাইরাসঘটিত অতিমারি মোকাবিলা করতে একটি জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী জুলফিকার মামুন বলেন, ডেঙ্গুতে জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ৬ দিন থাকে এবং তারপর জ্বর সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। জ্বর কমে গেলে বা ভালো হয়ে গেলে অনেক মনে করেন, রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডেঙ্গু জ্বরে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সময় আসলে এটাই। এ সময় রক্তে প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যায় এবং রক্তক্ষরণসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরবর্তী কিছুদিনকে তাই বলা হয় ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’। এ সময়টিতে সবার সচেতন থাকা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।