× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পরিত্যক্ত কক্ষে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন

বরিশাল অফিস

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম

পরিত্যক্ত রুমে এভাবেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন। প্রবা ফটো

পরিত্যক্ত রুমে এভাবেই অকেজো হয়ে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন। প্রবা ফটো

বারিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। লোকবল সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাতে এক্স-রে করা হচ্ছে না। ফলে রোগীরা স্বল্পমূল্যে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অধিক খরচে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে সেবা নিতে হচ্ছে। আর অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা টাকার অভাবে এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

একই অবস্থা আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনেরও। তিন বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেটি। যন্ত্র দুটি কবে সচল হবে বা আদৌ সচল হবে কি না, তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের এক্স-রে করা হতো। এর পরে নানান অজুহাতে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে সেটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অচল হয়ে গেছে। ফলে প্রায় এক যুগ ধরে মেশিনটি অচলাবস্থায় পড়ে আছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘ বছর এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। কক্ষটি ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে, ছাদের বেশিরভাগ পলেস্তারা খসে পড়েছে। কক্ষে নেই বিদ্যুৎ সংযোগও। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ফেলে রাখা হয়েছে কর্তব্যরত নার্সিং কক্ষে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক্স-রে মেশিন মেরামত করলেও সচল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন সচল হতে পারে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারজন চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রামে অভিজ্ঞ হলেও মেশিন অচল থাকায় সুফল পাচ্ছেন না রোগীরা। ফলে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করাতে হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা। অন্যদিকে অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ আছে, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা কমিশন দেওয়ায় এসব মেশিন সচলে নিরুৎসাহী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে স্টোরকিপার মামুন হোসাইন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কাগজে-কলমে এক্স-রে মেশিন বন্ধ পাঁচ বছর। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন অচল হওয়ায় আমার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এটাও বন্ধ আছে তিন বছর যাবৎ। কক্ষের সংকট থাকায় নার্সিং কক্ষে রেখেছি।

সেবা নিতে আসা নূরজাহান বেগম নামে এক রোগী বলেন, ‘আমার আলট্রাসনোগ্রাম করা দরকার। হাসপাতালের মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে করতে হচ্ছে। এক্স-রে মেশিন অচল থাকায় বাইরে যাচ্ছে রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও চিকিৎসাসেবার নামে অতিরিক্ত অর্থ আয়ের জন্য মেশিন দুটি সচল করছে না।’

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শঙ্কর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। এটি সচল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন এক্স-রে মেশিনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা