প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
দেশের পাঁচ জেলায় আঞ্চলিক ভাষায় পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরাক-বাংলাদেশ। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বিষয়টি সমন্বয় করবে।
ইউএসআইডি’র অর্থায়নে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় ‘নলেজ সাকসেস’ শীর্ষক এই প্রকল্পটির কার্যক্রম চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলবে।
রবিবার (১১ জুন) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থ ইউনিটের সভাকক্ষে প্রকল্প পরিচিতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পটির গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে সকল মানুষের দোরগোড়ায় পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আরও ত্বরান্বিত করতে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ও রাজশাহী জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর (এমসি-আরএএইচ) ডা. মো. মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, সঠিক তথ্যের সহজলভ্যতা ও সেবা গ্রহণে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করবে। যা দ্বারা সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরী, তরুণদের মধ্যে সচেতনতা স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা ও সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
সিরাক-বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা’র বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপনায় ৫টি বিভাগে আঞ্চলিক ভাষায় অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরির মাধ্যমে কীভাবে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রাম ইউনিটের লাইন ডাইরেক্টর ডা. নুরুন নাহার বেগম, এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মনজুর হোসেন, আইইএম ইউনিটের উপ-পরিচালক শাহনাজ পারভীন, পরিবার পরিকল্পনা ও এসআরএইচ বিশেষজ্ঞ ডা. জেবুন নেসা রহমান, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্পের অ্যাডোলেসেন্ট বিহেবিহার চেঞ্জ ম্যানেজার মো. সোহরাব হোসেন, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ডা. আজাদ রহমান, আইপাস বাংলাদেশের আইএসআরএইচআরডি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. জিয়াউল আহসান প্রমুখ।
প্রকল্পটি কীভাবে বাস্তবায়ন করলে কিশোর-কিশোরীদের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা হবে বক্তারা সে বিষয়ে অভিমত দেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট লুৎফা পাঠান, কমিনিকেশন অ্যাসোসিয়েট মো. কামরান মিয়া ও ফিন্যান্স ও অ্যাডমিন অ্যাসোসিয়েট ফারুক আহমেদ।
সিরাক-বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় ইউএসআইডি’র ‘সুখী জীবন’ প্রকল্পের অধীনে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি ‘পুঁথি’ তৈরি করেছে। যা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উল্লেখিত জনগোষ্ঠী, শিক্ষক, বেসরকারি সংগঠন (এনজিও), সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিনিধিদের দিয়ে সমাদৃত হয়েছে।
কমিউনিটিকে সম্পৃক্তকরণের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সচেতন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।