বিশ্বে প্রতি ৬ জনের ১ জন বন্ধ্যা

বন্ধ্যাত্ব একটি রোগ। এটি সম্প্রতি সারা বিশ্বে বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি ৬ জনের ১ জন বন্ধ্যা বা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। 

ডব্লিউএইচও মঙ্গলবারের (৪ এপ্রিল) প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রায় ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বন্ধ্যা সমস্যায় ভুগছেন। এর অর্থ বিশ্বের প্রতি ৬ জন প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে ১ জন সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। নারী-পুরুষ যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধ্যাত্ব একটা বড় ধরনের সমস্যা। এর ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিকসহ নানান ধরনের সংকট দেখা দেয়। এটা কোনো আঞ্চলিক নয়, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে শিগগির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার। 

ডব্লিউএইচওর বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্ধ্যাত্ব বৈশ্বিক সমস্যা হলেও দেশ বা অঞ্চল ভেদে রোগটির মাত্রায় কম-বেশি দেখা যায়। উন্নত দেশে প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ বন্ধ্যা। আর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তা কিছুটা কম, ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। 

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদরস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, এই প্রতিবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বন্ধ্যাত্ব কোনো বৈষম্য করে না। এটা সর্বত্র প্রায় সমানভাবে বিরাজমান। এ রোগ সমাধানে আশু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এর চিকিৎসা সহজ ও সূলভ করা দরকার। 

ডব্লিউএইচওর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক প্যাস্কেল অ্যালোটি বলেন, কোটি কোটি মানুষ বন্ধ্যাত্ব রোগে ভুগছেন। এটা আমাদের স্বাস্থ্য খাতের বিপর্যয়ের আরেকটা দিক। এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। 

প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষ ১২ মাস বা তার চেয়ে বেশি নিয়মিত ইন্টারকোর্স করার পরও যদি গর্ভধারণে ব্যর্থ হয়, মেডিকেলের পরিভাষায় তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। 

সূত্র: এনডিটিভি