প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:০১ পিএম
আগামী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৪শ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা সমস্যায় ভুগবেন। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বে অতিরিক্ত ওজন ও স্থূল মানুষের সংখ্যা ২০৩৫ সালে মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা কিছুটা কমানো যেতে পারে।
বিশ্ব স্থূলতা ফেডারেশনের বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল বা আগামী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৪শ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা সমস্যায় ভুগবেন। এর মধ্যে স্থূলতায় ভুগবেন প্রায় ২শ কোটি বা প্রতি চারজনের একজন।
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় সবচেয়ে বেশি ভুগবেন শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা। এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় এ সমস্যা প্রকট হবে। এ জন্য বিশ্বকে বড় ধরনের আর্থ-সামাজিক মূল্য গুনতে হবে।
এ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্থূলতা ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস বাউর। পরিস্থিতির সামাল দিতে নীতিনির্ধারকদের এখনই সতর্ক হতে হবে জানিয়ে লুইস বাউর বলেন, এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার সমস্যা বাড়লে এ খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়ে যাবে। তা ছাড়া এর সামাজিক প্রভাবও হবে সুদূরপ্রসারী।
বিশ্ব স্থূলতা ফেডারেশনের বরাতে আলজাজিরা জানায়, বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বে স্থূল কিশোরের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ কোটি ৮০ লাখ। আর কিশোরীর সংখ্যা হবে ১৭ কোটি ৫০ লাখ।
একই সময়ে স্থূল মানুষের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় দাঁড়াবে চার লাখ কোটি ডলারের বেশি, যা বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা সমস্যার জন্য একক কোনো ব্যক্তি বা পরিবার দায়ী নয়। এটা একটা সামাজিক, পরিবেশগত ও জৈবিক সমস্যা, যার সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। অর্থাৎ এটা একটা সামষ্টিক সমস্যা। তাই এ সমস্যা সবাইকে মিলেই সমাধান করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শরীরের ঘনত্ব সূচক অনুযায়ী, এক মিটার বা ৩ দশমিক ২৮ ফুট দৈর্ঘ্যের মানুষের ওজন ২৫ কিলোগ্রামের বেশি হলে অতিরিক্ত ওজন ধরা হয়। আর তা ৩০ কিলোগ্রামের বেশি হলে স্থূলতা বলে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্ব স্থূলতা ফেডারেশনের প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট ফোরামে নীতিনির্ধারকদের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র: আলজাজিরা