প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৩ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৬ পিএম
অসংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বব্যাপী ৮৪ ভাগ জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এই রোগের শিকার ৬৪ ভাগ। যার সিংহভাগই প্রবীণ। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের অসংক্রামক রোগে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে কাজ করছে ডিজিকেয়ার প্রকল্প। এই প্রকল্পে দেশের ৬৬ জন শিক্ষক ও ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে প্রকল্পটি।
প্রকল্প থেকে জানা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিজের যত্ন নেওয়া বা সে সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। যা ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় দ্রুত দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সেবা খুব জনপ্রিয় নয়। এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলন দুষ্কর। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা রোগীদের নিজের যত্ন নেওয়া ডিজিটাল মাধ্যমে শেখানো সম্ভব।
তাই বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সহজ ও সুলভে নিশ্চিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করা জরুরি। এই উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পাঁচটি মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ডিজিকেয়ার প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেখানে রোগীদের নিজের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে শেখানো হয়।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশের সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ভিয়েতনামের হ্যানয় মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও নামদিন ইউনিভার্সিটি অব নার্সিং।
ডিজিকেয়ার প্রকল্পের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা শেখানো এবং তাদের রোগীদের নিজের যত্ন নেওয়া বিষয়ক কোচিংয়ের জন্য শিক্ষিত করা। যাতে করে আমাদের দেশে ডিজিটাল সেবা নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়।
এই প্রকল্পের আওতায় সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরের তৃতীয় বর্ষ ও চতুর্থ বর্ষের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তাদের রোগীদের নিজের যত্ন সম্পর্কে শেখানোর ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রকল্প থেকে জানা গেছে, সিটি মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর দুই ধাপে ২০ জন শিক্ষক এবং ১৯৯ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের তিনটি মেডিকেল কলেজে মোট ৬৬ জন শিক্ষক ও ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতি মেডিকেল এবং নার্সিং কারিকুলামের আওতায় আনা গেলে পরে শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবায় কাজে লাগাতে পারবেন।
এই প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান হলো টামপের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিনল্যান্ড এবং সহোযোগিতায় নার্সিং স্কুল অব কুইমব্রা, পর্তুগাল।