প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৮ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। ছবি : ডব্লিউএইচও
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থতার চাওয়া সবারই। সুস্থ জীবন কে না চায়। কিন্তু চাইলেই আসলে তা পাওয়া যায় না। তবে চেষ্টা করতে তো আর ক্ষতি নেই। তাই সুস্থ জীবন পেতে চাইলে অনুসরণ করতে পারেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু টিপস।
প্রথমেই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ফলমূল, শাকসবজি সহ স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার দিকে জোর দিতে হবে। এ ছাড়া সঠিক নিয়মে খাবার সংরক্ষণ ও রান্না করা জরুরি। যতটা সম্ভব চিনি ও লবণ কম খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খেলে রক্তচাপ সংক্রান্ত রোগ, হার্টের সমস্যা ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
এ ছাড়া ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। অ্যালকোহল পানের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অ্যালকোহল পান মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া এটি লিভার সিরোসিসের মতো প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। ধূমপান পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি ধুমপায়ী হন। তবে আজই ধূমপান ছেড়ে দিন। কয়েকদিনের মধ্যে নিজেই এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম, খেলাধুলার মতো শারীরিক কসরতের প্রয়োজন। এতে পেশি ও হাড় ভালো থাকে। এ ছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও খুব জরুরি। বিশেষ করে নিয়মিত হাত ধোয়া স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য দরকারি। এতে অনেক সংক্রামক পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া একজন ব্যক্তির নিয়মিত রক্তচাপ মাপা উচিত। কারণ উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নিরব ঘাতক। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ জরুরি। যেসব প্রচলিত রোগের টিকা রয়েছে, সেসব টিকাও নিয়ে নিতে হবে।
যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নিরাপদ যৌনতা গনরিয়া, সিফিলিস ছাড়াও এইচআইভির মতো প্রাণঘাতি রোগের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। হাচি-কাশির ক্ষেত্রে মুখ ঢাকা জরুরি। মশাকে বলা হয়, সবচেয়ে প্রাণঘাতি প্রাণি। কারণ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ ভয়ংকর সব সংক্রামক রোগের বাহক হলো মশা। তাই মশা থেকে নিরাপদ থাকা জরুরি। এ জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা ছাড়াও সামাজিক পর্যায়ের কার্যক্রমও প্রয়োজন।
ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা উচিত। এতে আপনার মূল্যবান জীবন নিরাপদে থাকবে।
নিরাপদ (বিশুদ্ধ) পানি পান করতে হবে সবসময়। এক্ষেত্রে ছাড় দিলে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর জীবন পাওয়া সম্ভব নয়।
২ বছর পর্যন্ত শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করতে হবে। যদি আপনি বিষন্ন বা হতাশ হয়ে পড়েন, বিশ্বস্ত ও প্রিয় কারও সঙ্গে বিষন্নতার কারণ নিয়ে কথা বলুন। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে শুধু ডাক্তার বললেই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত।
সূত্র : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা