প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৮ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৭ এএম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ফটো
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে দেশে শনাক্ত এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮। এখন পর্যন্ত দেশে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৮৯০ জন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম লুৎফুননেসা খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শনাক্ত এইচআইভি রোগীর মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন। ১১টি সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে। আটটি এনজিও থেকে ড্রাগ ইউজারদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১৩৪টি ড্রপ-ইন-সেন্টার থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে আসছে আইন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকার সম্মেলনে তিনি যুগান্তকারী এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়ার সময় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন অন্যতম। তার নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, যা দ্রুত পাস করার পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। তারপর পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ১৫৩ জন সংসদ সদস্য সুপারিশ করেছেন। সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন সংশোধন করছে। খসড়া আইনে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ ধারার মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ইমার্জিং তামাকপণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।