প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০ পিএম
উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা আয়োজিত ‘গ্রামীণ নারীদের মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দাইমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা। প্রবা ফটো
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, পরিবারে ছেলে সন্তান লাভের কুসংস্কার বাদ দিতে হবে। এ কারণে দেশে এখনও জনসংখ্যার হার বাড়ছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা আয়োজিত ‘গ্রামীণ নারীদের মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দাইমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার স্বল্পতা প্রচুর। হাসপাতালগুলোতে যেই কোয়ালিটি বজায় রাখা উচিত, সেই কোয়ালিটি আসলে জেলা-উপজেলা কিংবা ঢাকা মেডিকেলেও নেই। যেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী থাকার কথা, সেখানে ২০০ জন রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সমস্যাটা পরিস্কার, সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্তান প্রসবের সময় অবস্থা গুরুতর হলে দাইমারা প্রশিক্ষণের অভাবে অনেকক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়েন। তারা অনেকে এখন প্রশিক্ষণ নেন, সবার জন্য নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। যক্ষা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, কলেরার মতো রোগগুলোকে সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিডনি রোগীদের একেকটা ডায়ালাইসিস করতে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদেরকে অবশ্যই প্রিভেনশনে যেতে হবে।’
অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, দাইমাদের প্রশিক্ষণ কিংবা সুনির্দিষ্ট কোনো ভাতা নেই। তাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডওয়ারি দরকার। ডাক্তারের অপ্রতুলতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাইমা হলে নিরাপদ ডেলিভারি সম্ভব। অনেকে শুনেছি বাঁশের চাই কিংবা বটি দিয়েও শিশুর নাড়ী কাটেন। অপরিষ্কার থাকায় অনেক শিশু মারাও যায়। সচেতনতার বাইরে সুস্থ্য প্রসব ও মাতৃমৃত্যু কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
সীমা দাশ সীমুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রশিখা চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম, গণস্বাস্থ্যের তামান্না দিলরুবা, জাগো নারী ফাউন্ডেশনের মুশতারী বেগম ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দাইমারা।