ঢামেকের ভেতর-বাইর ২
আসাদুজ্জামান তপন
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৯ এএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৫ এএম
ফাইল ফটো
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগ। সুফিয়া বেগম নামে ৭০ বছর বয়সি এক নারী চিকিৎসক দেখিয়ে হাতে স্লিপ নিয়ে বের হয়ে এলেন। সঙ্গে এক যুবক। ঘনিষ্ঠভাবেই কথা বলতে বলতে এগোচ্ছেন দুজন। কিছুটা পথ হেঁটে এসে ঢুকলেন হাসপাতালের অদূরে অবস্থিত অথেন্টিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কলসালটেশন নামে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
সুফিয়া বেগম কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করাবেন। সঙ্গে থাকা যুবক কাউন্টারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললেন। বোঝা গেল, তারা পূর্বপরিচিত। সুফিয়া বেগমের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করাতে লাগবে ৯৩০ টাকা। তাকে কমিশন দেওয়া হলো ২৮০ টাকা।
সুফিয়া বেগম কাউন্টারে জমা দিলেন ৬৫০ টাকা। যে পরীক্ষাগুলো এখানে করা হলো, সেগুলো ঢামেক হাসপাতালে করানো সম্ভব এবং খরচও কম। কিন্তু সেটা না করে এখানে কেনÑ জানতে চাইলে সুফিয়া জানালেন, চিকিৎসক বলেছেন এখান থেকে করাতে। সরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট নাকি ভালো না। আর সঙ্গে থাকা ওই যুবকের সঙ্গে তার হাসপাতালেই পরিচয়। ওই যুবকই তাকে এখানে এনেছেন।
সুফিয়া বেগম চলে যাওয়ার পর পরিচয় দিয়ে কথা হলো আরমান নামে সেই যুবকের সঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘রোগীদের এই সেবা দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কিছু টাকা পাই। সেবা দিয়ে এই টাকা নেওয়া কি অপরাধ?’
ঢামেক হাসপাতাল থেকে সুফিয়া বেগমের হাতে যে স্লিপ ধরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে কোনো তারিখ নেই। নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর। শুধু আছে রোগীর নাম, বয়স, কী কী পরিক্ষা করাতে হবে তার বর্ণনা এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর।
অথেন্টিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার পরীক্ষার বিপরীতে যে বিল করা হয়, সেটার নম্বর এ-২৫০১২৩৯৯৫৪। বিলের কাগজে রেফার্ড নম্বর এক্স ১৭৮ ডিএমসিএইচ থাকলেও রিমার্কস হিসেবে লেখা হয়েছে সেলফ।
অথেন্টিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাউন্টারে বসে থাকা সাইফ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাই, বুঝেনই তো সব। রেফার্ড নম্বর দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকের কমিশনের হিসাব রাখার জন্য। আর সেলফ বলা হয়েছে দালালের মাধ্যমে এসেছে বলে। এই এলাকার প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারই দালালনির্ভর। তারাই কমিশনের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে আসে।’
সাইফ আর কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই প্রতিবেদককে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
গত রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এবং হাসপাতালের আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ক্লিনিকগুলোতে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঢামেক হাসপাতাল ঘিরে চানখাঁরপুল, নিমতলী, হোসেনী দালান রোডসহ আশপাশে দুই শতাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ব্লাড ব্যাংক গড়ে উঠেছে। এগুলোর অধিকাংশেরই মালিক ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঢামেক হাসপাতাল থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নিতে বেশ কিছু দালাল চক্র সক্রিয়। এসব চক্রের তিন শতাধিক দালাল দেশের অন্যতম প্রধান এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে তৎপর। তাদের কাজই হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারদের দেওয়া প্যাথলজিক্যাল টেস্টগুলো করাতে রোগী ও স্বজনদের ফুঁসলিয়ে বাইরের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা।
এই অপতৎপরতায় চিহ্নিত দালালরা ছাড়াও হাসপাতালের অসংখ্য আয়া, বুয়া, ওয়ার্ডবয়সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজনরা জড়িত। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছেÑ এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হাসপাতালের ডাক্তাররাও।
ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইতঃপূর্বে চানখাঁরপুল মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টারসহ কয়েকটি ক্লিনিকে ভোক্তা অধিকারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিযান চালায় এবং জরিমানা করে। অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
এখানকার প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই অনিবন্ধিত। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন থাকলেও নবায়ন করা হয় না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবুল মোমেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দেশে লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৩৩টি। আর সারা দেশে ১ হাজার ২৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের কোনো লাইসেন্সই নেই। এটা হচ্ছে গত বছর তৈরি করা স্বাস্থ্য বিভাগের নিজস্ব পরিসংখ্যান। তবে বাস্তবে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। হয়তো জনবল বা তথ্য ঘাটতি অথবা অন্য যেকোনো কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বাস্তব চিত্রটা উঠে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, অনুমোদন ছাড়া স্বাস্থ্যের একটি প্রতিষ্ঠানও চলতে পারে না। দ্রুত এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে রাজনৈতিক বা অর্থের যতই দাপট থাকুক না কেন, এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এখন কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গজিয়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান ও দালাল চক্র উচ্ছেদের এখনই একটা সময়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান এ ব্যাপারে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রোগী বাইরে পাঠানো ঠিক নয়। তবে তারা যে সব সময় এটা শুধু কমিশন বা নিজেদের ক্লিনিক বলেই করেন, সেটাও ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘কিছু পরীক্ষা আছে যেগুলো ঢাকা মেডিকেলে হয় না। আবার এমন হয় যেÑ কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রেই দ্রুত টেস্ট রিপোর্ট দরকার হয়, যেটা ঢাকা মেডিকেলে করালে সিরিয়াল পেতে এবং রিপোর্ট পেতে দেরি হয়। সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষার জন্য তারা রোগীকে বাইরে পাঠিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। রোগীকে চিকিৎসকদের বলে দেওয়া উচিতÑ ভালো এবং বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলেই চলবে।’
চিকিৎসকরা অনেকেই বলে থাকেন যেÑ সরকারি হাসপাতালের বা ঢাকা মেডিকেলের প্যাথলজিক্যাল বা অন্য কোনো পরীক্ষার রিপোর্ট নির্ভরযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে পরিচালক বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং বাইরের অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়েও এই হাসপাতালের রিপোর্ট বেশি নির্ভরযোগ্য। সরকারি হাসপাতালগুলোতে লোকবল সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু এখানে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো আধুনিক ও উন্নতমানের। পরীক্ষাদির জন্য যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, সেগুলোও উন্নত।’
সরেজমিন অনুসন্ধান চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশে অথেন্টিক ডায়াগনস্টিক, অ্যাকটিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রিলায়েন্স ডায়াগনস্টিক, হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাডভান্স হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পিওর সায়েন্টিফিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে কথা হয় অনেক রোগী ও তাদের ভাগিয়ে আনা দালালদের সঙ্গে।
দেখা যায়, প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকের সামনে ও আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত দালালদের একাধিক লাইনম্যান বা সুপারভাইজার। এদের কাজ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের দালাল ফুঁসলিয়ে আনা রোগীদের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায় কি না, তা নজরদারি করা।
গত রবিবার (৫ জানুয়ারি) চম্পা নামে এক মহিলা দালালকে দেখা গেল জুনায়েদ নামক এক রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছেন ঢামেক থেকে পাশের ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। জুনায়েদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।
একই সময় ঢামেক থেকে ওই চম্পারই ভাগিয়ে আনা সিয়াম নামে আরেক রোগীকে পাওয়া যায়। প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করাতে তার বিল হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা। চম্পার সুপারিশে তাকে ৪০০ টাকা ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়।
পরে কথা হয় ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাউন্টারে কর্তব্যরত তামিম ইকবালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই, উল্টাপাল্টা কিছু লিখবেন না। আমরা তো বড় ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও রোগীদের অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। তা ছাড়া চিকিৎসকরাও সেখানকার টেস্ট রিপোর্টের ওপর ভরসা করতে পারেন না। এ কারণেই প্রতিনিধি (দালাল) পাঠিয়ে ওইসব সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের বুঝিয়ে এখানে আনা হয়। বরং বলতে পারেন আমাদের মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিক না থাকলে এই অসহায় রোগীরা মারা যেত।’
ঢামেক থেকে দেওয়া সিয়ামের স্লিপে রেফার্ড লেখা আছে ডিএমসি। ডাক্তারের স্বাক্ষর আর তারিখ থাকলেও কোনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিল নম্বর ডি-৩১৭।
গত রবিবার চানখাঁরপুলের অ্যাডভান্স হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দেখা গেল সাকিব নামের এক রোগীর মা স্লিপ নিয়ে রিপোর্টের জন্য বসে আছেন। পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করব বাবা? দেখেন না, এই টেস্ট সব হাসপাতালেই হয়। তারপরও ডাক্তাররা এইখানে পাঠাইল। দালাল ঠিক করে দিয়েছেন একজন ওয়ার্ডবয়। আমরা গরিব মানুষ। তারপরও সরকারি হাসপাতালে জায়গা মিলে না।’
ঢামেকের দেওয়া সাকিবের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫২৬১৫৬। এখানে বিল হয়েছে ৫০০ টাকা। তবে তিনি এখানে ২০০ টাকা ডিসকাউন্ট পেয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ গোলাম রসুল এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষা করানোর যন্ত্রপাতি আধুনিক এটা সত্য। তবে টেকনিশিয়ানরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ততটা দক্ষ নন। যেসব রিএজেন্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া টেস্টের জন্য সিরিয়াল পেতেও সময় লাগে। আর এমন জটিলতা বা সমস্যার কারণেই এইসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢামেক নয়, সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল এলাকায়ই এমন অবস্থা। অনেক বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেও এসব হাসপাতালে কালেক্টর পাঠিয়ে ভর্তি রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। ঢামেকেও তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে। অধিকাংশ রোগীকেই তারা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিশন দেয়। এর সঙ্গে চিকিৎসক, কালেক্টর, আর নার্স-ওয়ার্ডবয়দের কমিশন আছেই। কমিশনের অঙ্ক দেখেই বোঝা যায় এই বাণিজ্যে প্রাইভেট সেন্টারগুলো কী পরিমাণ লাভ করে থাকে।’
ডা. গোলাম রসুল আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের এই কমিশন বাণিজ্য বন্ধ না হলে দালাল চক্রের হাত থেকে কোনো রোগীই রক্ষা পাবে না। আর এর জন্য সরকারের কঠোর অবস্থান প্রয়োজন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারি হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট অনেকেরই প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল আছে। নিমতলী এলাকার একটি প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ঢাকা মেডিকেলেরই অর্ধশতাধিক চিকিৎসক। এতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, দালাল চক্রের নেপথ্যে আছে চিকিৎসকদের সিন্ডিকেট।’