× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনো ঊর্ধ্বমুখী ফেব্রুয়ারিতে কমার আশা

ফারহানা বহ্নি

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৫১ এএম

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৫১ এএম

গ্রাফিক্স : প্রবা

গ্রাফিক্স : প্রবা

জাহিদুল ইসলাম সেতু (২৮) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন ধরে কাতরাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুরো শরীর অবসন্ন, বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না। কথা বলার শক্তিও নেই বললেই চলে। গাজীপুরের সিটিতে থাকেন তিনি। সেতুর শিয়রে বসে থাকা তার বাবা ইসমাইল হোসেন বললেন, ‘জ্বর হয়েছিল। পেটে ব্যথা আর বমি শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে যাই ওকে। তারপর সেখান থেকে এখানে আসতে বলে। মশা তো চোখে পড়েনি, কিন্তু কীভাবে যে ওর ডেঙ্গু হয়ে গেল বুঝলাম না। আমাদের সিটিতে অবশ্য মশা মারার ওষুধ ছিটাতেও দেখি নাই। ছিটালেও ঠিকভাবে কাজ করেছে বলে মনে হয় না। ঢাকা মেডিকেলে খুব খরচ নাই। তবে আমার আসা-যাওয়াতেই খরচ হচ্ছে বেশি। এর মধ্যেই ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে।’ 

চাঁদপুরের বাসিন্দা সাথী আকতারেরও ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। তার স্বামী বদরুল আলম কাজ করেন নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায়। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে জ্বর আসে, তারপর শুরু হয় পেটব্যথা। ১০ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তিনি। সাথী আকতার বললেন, ‘১৫ হাজার টাকা তো অনেক। তা-ও খরচ করেছি ধারদেনা করে। আমাদের কোনো জমানো টাকা নেই। এই যে আমি এখানে থাকিÑ খাবারটা কিনে খেতে হয়। সেটাও এখন ধারদেনা করে কিনতে হয়।’ 

কারখানাগুলোতে ডেঙ্গু মশা নিধনের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানালেন বদরুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমি যে কারখানায় কাজ করি, সেখানে মশা নিধনের কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। প্রচুর মশা আছে কারখানাটায়। আমার বাসায় আমার সমস্যা হয় না। কিন্তু কাজের জায়গাটাই ঠিক নেই।’ 

শুধু প্রশাসনের অসচেতনতাই ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে এমন না; জনসচেতনতারও অভাব আছে বলে জানালেন হাসপাতালে ভর্তি অনেকেই। তাদের বেশিরভাগই তরুণ। পরিবারের হাল ধরতে বাড়ি থেকে ঢাকায় চাকরি করতে এসেছেন শিক্ষার্থী নীরব (২৩)। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে একটি বাসায় উঠেছিলেন তিনি। তার পরদিনই প্রচণ্ড জ্বর আসে। তিনি বলেন, ‘বাসাটায় অনেক মশা ছিল। কিন্তু ঢাকায় মাত্র এসেছি, সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারিনি। দুই দিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছি, জ্বর চলে এসেছে। তারপর হঠাৎ হাত-পা বাঁকা হয়ে গেছে। পরে টাইফয়েড ধরা পড়ে, তারপর দেখা যায় ডেঙ্গুও আছে। প্রথমেই হাসপাতালে আসিনি, বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। আরও আগে এলে আগেই ধরা পড়ত।’

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই তরুণ। তাদের অধিকাংশই কারখানা, গ্যারেজ কিংবা মেসে বা নিজ নিজ কর্মস্থলে মশার উপদ্রবের কথা জানিয়েছেন।

বাসায় নিয়মিত মশারি ব্যবহার করেন আজিমপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (২৮)। হঠাৎই জ্বর আসে তার। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। ডেঙ্গু টেস্ট করে তিনি বাসায় বিশ্রাম নিতে থাকেন। পরে বমিসহ পেটের সমস্যা শুরু হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। এখনও পরিবারের কারও ডেঙ্গু হয়নি। কিন্তু মিজানের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে পাঁচদিন আগে। মিজান বলেন, ‘অফিস থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছি। বাসা একদম পরিষ্কার রাখি। কিন্তু অফিসে কোনো ব্যবস্থা নেই। এখনও শরীর বেশ দুর্বল।’ 

শীতেও ডেঙ্গু হওয়ার মূল কারণ জমে থাকা পানি। গ্যারেজ, কারখানা এবং নির্মাণাধীন ভবন থেকেও এখনও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ‘নির্মীয়মাণ ভবনের বেসমেন্টে জমা পানি, যেসব এলাকায় পানির সংকট আছে, তাদের টয়লেট এবং গোসলখানায় ড্রাম ও বালতিতে জমিয়ে রাখা পানি, বাড়ির ওয়াসার মিটার সংরক্ষণের জন্য নির্মিত চৌবাচ্চায় জমা পানি এবং বহুতল ভবনের বেসমেন্টে গাড়ির পার্কিংয়ে গাড়ি ধোয়ার জায়গায় জমা পানি শীতকালেও এডিস মশা প্রজননের জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে। মা মশা ডিম পাড়ার জায়গা বৃষ্টির পানিতে না পেলে, জমানো পানিতে গিয়ে ডিম দেবে। তাই শীতকালে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামকে এসব প্রজননস্থল বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। ড্রেন ও যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে বা জমিয়ে রাখা হয়Ñ সেসব জায়গায় কাজ করতে হবে।’

এবার ডেঙ্গু ফেব্রুয়ারিতেও থাকতে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এডিস মশার ঘনত্ব কমতে শুরু করেছে। জানুয়ারিতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। এখনও অনেক জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে সেটা কমে আসবে। এটা নগরের রোগ। যেখানেই নগরায়ণ হবে, সেখানেই এর প্রজনন বাড়বে। এছাড়া এডিস মশা মানুষকে দিন-রাত যেকোনো সময় কামড়াতে পারে। এডিস মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ালেও এখন এই বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন এসেছে। দেশে মশা নিয়ে গবেষণা হলেও ডেঙ্গু নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই। এক্ষেত্রে গবেষণা করতে হবে।

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি এক লাখ ছাড়াল

দেশে গত এক দিনে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১৪১ জন। যাদের নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ জনে। বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এক লাখ ছাড়াল। এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর। এ বছর আগস্টের পর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়। ২৪ সেপ্টেম্বর ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ২৫ হাজার। প্রায় এক মাস পর ২১ অক্টোবর ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায়। আরও ৫০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় শেষ দুই মাসে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ জন। ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, আর মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৩ জন; আর ৭৪৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ৬০ হাজার ৪১ জন ঢাকার বাইরের। ঢাকার দুই সিটি এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৮৮ জন। এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

তাপমাত্রা কমলে ডেঙ্গুর ডিম দেরিতে ফুটবে

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘নভেম্বরের শুরুতে বৃষ্টিটাই ডেঙ্গুর সময়টাকে এখানে নিয়ে আসছে। এখন শীতে বৃষ্টি না থাকলেও মশা ডিম পাড়তে পারে। ডিসেম্বরে বৃষ্টি ছাড়াই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। এটা তাপমাত্রার ওপরও নির্ভর করে। এখন যে তাপমাত্রা এটা মশার বাচ্চাকে দ্রুত বের করে নিয়ে আসবে। তাপমাত্রা যদি ১৮ ডিগ্রির নিচে থাকে তখন আবার ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে সময় লাগবে। নষ্ট হয়ে যাবে না। কিন্তু সময় লাগবে। ডেঙ্গু নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই এমন না। কিন্তু চাহিদামতো গবেষণা হচ্ছে কি না সেটা বলা কঠিন।’

তবে মুশতাক হোসেন মনে করেন, ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু কেন এত বেশি, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু বেশি হচ্ছে, সেটা নিয়ে গবেষণা থাকা দরকার। নারীরা সাধারণত দেরি করে হাসপাতালে আসেন। এছাড়া গর্ভধারণ ও পিরিয়ডকালে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।’ নারীরা আক্রান্তের তুলনায় হাসপাতালেও কম আসে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, ‘পুরুষরা অসুস্থ হলে যেভাবে ডাক্তারের কাছে আসেন, নারীরা সেভাবে হাসপাতালে কমই আসেন। একদম শেষ মুহূর্তে আসেন তারা। যা নারীদের মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে।’

ডেঙ্গুতে চলতি বছর আক্রান্তের দিক থেকে নারীর তুলনায় পুরুষের হার বেশি হলেও মৃত্যুহারে এগিয়ে নারী। আক্রান্তের দিক থেকে পুরুষের হার ৬৩ শতাংশ ও নারীর ৩৭ শতাংশ। মৃত্যুর দিক থেকে নারীর হার ৫২ শতাংশ ও পুরুষের ৪৮ শতাংশ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বছরে শূন্য থেকে ১৫ বছরের প্রাণ ঝরেছে ৬৩ শিশুর। এদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সি ২৫ শিশু, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সি ২২ শিশু ও ১১ থেকে ১৫ বছরের ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ থেকে ২০ বছরের প্রাণ হারিয়েছে ৩০ জন।

এদিকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে তরুণদের। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সি ৪৮ জনের, ২৬ থেকে ৩০ বছরের ৫৫ জনের, ৩১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। অর্থাৎ ২১ থেকে ৩৫ বছরের তরুণরা এ বছর প্রাণ হারিয়েছে ১৪৯ জন।

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ৬০ শতাংশ ঢাকা মহানগরে, সিটি করপোরেশন কী করছে

ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)-২৩৪ জন। এরপর রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)-সেখানে মৃত্যু ঘটেছে ১০৩ জনের। যা মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মশা নিধনে বাজেট ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিএনসিসি ১১০ কোটি এবং ডিএসসিসি ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বছরজুড়েই আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর যে সংখ্যা, সেটা আসল চিত্র তুলে ধরে না। ঢাকার বাইরে থেকেও ডেঙ্গু রোগী এখানকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়। মৃতদের সবাই সিটির ভেতরের না; অনেকেই বাইরের।’

এ বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে সব মিলিয়ে ১৭২ জন কাউন্সিলর ছিলেন। সরকারের পটপরিবর্তনে কাউন্সিলররা আত্মগোপনে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। সেখানে বর্তমানে দুই সিটি করপোরেশন পরিচালনার জন্য দুই কমিটির ৫০ জন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা ২০ জনসহ ৭০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডগুলোতে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে সংশ্লিষ্ট সচিবরা দায়িত্ব পালন করছেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা