× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এ যুগের কেউ না

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৫:০৯ পিএম

আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম

পশ্চিম আফ্রিকা রাজ্যের নবম সুলতান মানসা মুসা। ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকা রাজ্যের নবম সুলতান মানসা মুসা। ছবি : সংগৃহীত

ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মুকেশ আম্বানি, এমনকি সম্রাট আকবরও নন, আমি কথা বলছি মালি সাম্রাজ্যের প্রয়াত শাসক মানসা মুসার। সম্পদের দিকে যার কাছাকাছি এখন পর্যন্ত কেউ যেতে পারেননি। তার ছিল ‘অঢেল’ সম্পদ।

চতুর্দশ শতাব্দীর পশ্চিম আফ্রিকার এই শাসকের সম্পদ গড়ে উঠেছিল সোনা, লবণ ও জমির মাধ্যমে। ঐতিহাসিকদের মতে, মুসা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন।

যদিও সোনা, লবণ ও জমির ওপর ভিত্তি করে সম্পদ গণনা করা মোটামুটি কঠিন হতে পারে, তবুও অনুমান করা হচ্ছে, আধুনিক দিনে মানসার সম্পদের পরিমাণ ৪০০ থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বের ধনীদের মধ্যে কারোরই সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম হয়নি। 

কে এই মানসা মুসা?

মানসা মুসার আসল নাম মুসা কিয়েতা। তিনি পশ্চিম আফ্রিকা রাজ্যের নবম সুলতান ছিলেন। তিনি ১২৮০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কেইতা রাজবংশের সময় এক শাসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্ষমতায় আসেন।

তিনি সিংহাসনে আরোহনের সময় ইতোমধ্যেই খুব ধনী হিসেবে বিবেচিত হন। 

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, লবণ ও সোনার খনি এবং হাতির দাঁতের ব্যবসা থেকে তার সম্পদ আকাশচুম্বী হতে থাকে।

মুসা একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। তিনি ১৩২৪-২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মক্কায় ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হজযাত্রা’ করেছিলেন।

জানা গেছে, তিনি প্রায় ৬০ হাজার পুরুষ ও নারী নিয়ে মালি ত্যাগ করেছিলেন। রাজকীয় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উটচালক ও ক্রীতদাস পর্যন্ত বেশিরভাগই মাথা থেকে পা পর্যন্ত ফার্সি সিল্ক ও সোনার ব্রোকেডে সজ্জিত ছিলেন। এদিকে ১০০টি উট খাঁটি সোনার বস্তা বহন করছিল। 

মুসা তার রাজ্যের শহরগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। ইসলামি পণ্ডিতদের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে স্থাপত্য উন্নয়ন করেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টার জন্য তাদের ২০০ কেজি পর্যন্ত স্বর্ণ প্রদান করেছিলেন।

১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিনি স্কুল, গ্রন্থাগার ও মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্ররা সফলভাবে রাজ্য পরিচালনা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। 

সূত্র : জিও নিউজ

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা