প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫২ পিএম
আপডেট : ০১ মে ২০২৪ ০০:৫২ এএম
নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের আয়ু বাড়ায়। ছবি : সংগৃহীত
গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মানুষের আয়ুষ্কাল পাঁচ বছর বাড়িয়ে দিতে পারে। একইসঙ্গে জেনেটিক্সের প্রভাবকে ৬০ শতাংশেরও বেশি কমিয়ে আনতে পারে।
জিনগত কারণে কিছু মানুয়ের জীবনকাল স্বল্প হয়। আবার মানুষের জীবনযাত্রার ধরনও তার জীবনকালের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষত ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ, ডায়েট ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ একজন মানুষের দীর্ঘায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিএমজে এভিডেন্স বেসড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা জীবন-সংক্ষিপ্তকারী জিনের প্রভাবগুলো ৬২ শতাংশ প্রতিহত করতে পারে। তাছাড়া জীবনের আয়ু পাঁচ বছর বাড়াতে পারে।
ইউকে বায়োব্যাংকের ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪২ মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জীবনধারা যেমনই হোক না কেন, কম জিনগত ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় উচ্চ জিনগত ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের আগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি।
চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন ও ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের গবেষকরা দেখেছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকারীদের জিনগত ঝুঁকি থাকলে তাদের অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা ৭৮ শতাংশ বেড়ে যায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যেসকল মানুষের জিনগত সমস্যা নেই ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে তাদেরও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু তাদের তুলনায় যারা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে ও জিনগত সমস্যা রয়েছে তাদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, স্বল্প আয়ু বা অকালমৃত্যুর জিনগত ঝুঁকি অনুকূল জীবনযাত্রার দ্বারা প্রায় ৬২ শতাংশ প্রশমিত করা যেতে পরে। উচ্চ জিনগত ঝুঁকি আছে এমন ব্যক্তিরা অনুকূল জীবনযাত্রার দ্বারা ৪০ বছর বয়সে তাদের আয়ু প্রায় ৫ দশমিক ২২ বছর দীর্ঘায়িত করতে পারে।
দীর্ঘ জীবনের জন্য সবচেয়ে উত্তম জীবনধারা হলো , কখনও ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুমের সময়কাল ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা।
বিশ্ব ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা ম্যাট ল্যামবার্ট বলেন, ‘নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, জিনগত কারণ সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও সক্রিয় থাকা আমাদের আয়ু বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান