আত্মহত্যা রোধ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৯ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৯ পিএম
তাইওয়ানে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ব্যাপক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ছবি : সংগৃহীত
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হতাশা ও মানসিক চাপ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার পরিমাণ তাদের মধ্যেই বেশি। শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগী হলেও অধিকাংশ বাবা-মা তার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাহ্য করেন। যার ফলে হঠাৎ-ই একদিন আবিষ্কার করেন তার সন্তান ঢলে পড়েছে মৃত্যুর কোলে।
এ ধরনের করুণ পরিণতি ঠেকাতে এবার পদক্ষেপ নিয়েছে তাইওয়ান। উচ্চ মানসিক চাপ ও হতাশার জন্য তাইওয়ানের তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলতি মাস (মার্চ) থেকে মানসিক স্বাস্থ্য ছুটি দেওয়া শুরু করবে দেশটি।
এ কর্মসূচির আওতায় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি সেমিস্টারে তিন দিনের ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবে। এ জন্য কোনো প্রমাণ দেখাতে হবে না। তবে মা-বাবার অনুমতি লাগবে। ৪০টিরও বেশি বিদ্যালয় এই কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে অংশগ্রহণে আগ্রহী বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাইওয়ানে তরুণদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিতে ১৫-২৪ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশার মূল কারণ হিসেবে অতিরিক্ত প্রাতিষ্ঠানিক চাপকে দায়ী করে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তাইওয়ানের শিক্ষার্থীদের অসম্ভব রকম চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
২০২২ সালে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার লিগ ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপের তিনটি অন্যতম কারণ হলো বিদ্যালয়ের কাজ, ক্যারিয়ার ও পারস্পরিক সম্পর্ক ।
ন্যাশনাল সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলিং ও স্বাস্থ্যে ইউনিটের মনোবিজ্ঞানী সিয়াও চি-সিয়েন বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ছুটি দেওয়াটা একটি ভালো পদক্ষেপ। কর্তৃপক্ষ সঠিক পথে এগোচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য ছুটির কিছু কার্যকারিকা আছে। এটা শিক্ষার্থীদের সেই সময়ের জরুরি চাপ থেকে স্বস্তি পেতে সহায়তা করে। এ সময় তারা তাদের অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে ও যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিতে পারবে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান