প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০০ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৩ পিএম
চীনের একটি হাসপাতালে সেবিকাদের কোলে নবজাতকেরা। ছবি : সংগৃহীত
চীনের আসন্ন নতুন বছর ড্রাগনবর্ষ। ড্রাগনবর্ষকে সমৃদ্ধি ও উর্বরতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। টানা দুই বছর জনসংখ্যা কমে চাপে থাকা চীন নতুন বছরে বেশি শিশু আসা করছে। নতুন বছরে দেশটির সরকার ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের এটাই প্রধান প্রার্থনা।
চীনের ঐতিহ্যবাহী পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারি থেকে লা ইউয়ে অর্থাৎ বছরের শেষ মাস শুরু হয়েছে। এ সময় থেকে চীনারা ঐতিহ্যবাহী পঞ্জিকা অনুযায়ী নতুন বছরের জন্য নানা প্রস্তুতি শুরু করে। ১০ ফেব্রুয়ারি চীনের নতুন বছর তথা ড্রাগনবর্ষ শুরু হবে।
এদিকে ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চীনে জনসংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে মৃত্যু ছিল ব্যাপক। প্রতি হাজারে মারা গেছে ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ মানুষ। ১৯৭০-এর দশকের পর দেশটির এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা জনসংখ্যাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওয়াং ফেং বলেন, ‘চীনে জনসংখ্যা হ্রাসের হারটি বাড়ছে না।’
চীনা আশা করছে, প্রতি ১২ বছরে একবার করে আসা ড্রাগনবর্ষে অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি শিশুর জন্ম হবে।
চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বিশ্বাস করা হয় যে, ড্রাগনবর্ষে জন্মগ্রহণ করা ‘ড্রাগন বেবিরা’ সৌভাগ্য বয়ে আনে।
আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনা অর্থনীতির জন্যও ২০২৪ সালটি গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস তার প্রতিবেদনে বলেছে, ড্রাগনবর্ষে তাদের জন্মহার কিছুটা বাড়বে। তবে এ ধরনের কুসংস্কার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারবে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
ওয়াং বলেন, ‘অতীতে শুভ বর্ষে শিশুর জন্ম বেশি হয়েছে। কিন্তু এখন যখন অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, তরুণদের মধ্যে হতাশা রয়েছে, তখন এবার জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।‘
১৯৮০ সালে চীন বিতর্কিত এক শিশু নীতি গ্রহণ করে। এ ছাড়া দ্রুত নগরায়ণ ও জীবনযাপন ব্যয়বহুল হয়ে ওঠায় দেশটিতে কয়েক দশক ধরেই জন্মের হার কমে এসেছে।
তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ২০১৬ সালে ‘এক শিশু’ নীতি পরিহার করে দেশটি। বর্তমানে অঞ্চলভেদে চীনে কোনো দম্পতি চাইলে তিন ছেলেমেয়েও নিতে পারবে। তবে বিষয়টি জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে খুব বেশি প্রভাব রাখতে পারেনি।
সূত্র : রয়টার্স, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস