প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩০ পিএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩২ পিএম
পুরুষ পাফার মাছের আঁকা নকশা নিজের আকারের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড়। ছবি : সংগৃহীত
বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করতে সব ধরনের প্রাণীর মধ্যে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড দেখা যায়। স্ত্রী মাছকে মুগ্ধ করতে সমুদ্রের তলদেশে পুরুষ পাফার মাছ নকশা আঁকে, যা মানুষের শিল্পকর্মের মতোই সুন্দর ও সূক্ষ্ণ।
জানা গেছে, পুরুষ পাফার মাছের আঁকা নকশা নিজের আকারের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড়। এ ধরনের একটি নকশা করতে এক সপ্তাহ লাগে। প্রজননের সময় এমনভাবে সঙ্গীকে আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা যায় পাফার ফিশকে। গোলকের মতো আকারের এই নকশা দেখেই পাফার ফিশ সঙ্গী নির্বাচন করে।
নকশায় থাকা দাগের দূরত্ব দেখে স্ত্রী পাফাররা পুরুষ মাছটির আকার সম্বন্ধে জানতে পারে। এটি দেখেই পুরুষ মাছটিকে সঙ্গী করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় স্ত্রী মাছটি। নকশার মধ্যেই বাসা তৈরি করা হয়।
প্রতি বছর বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত পাফার মাছের প্রজনন মৌসুম। এই সময় এক একটি পুরুষ পাফার একাধিক স্ত্রী পাফারকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে।
সমুদ্রের তলদেশের নকশার মধ্যে থাকা বাসাতেই ডিম পাড়ে স্ত্রী পাফার। ডিম পাড়া শেষ হলে স্ত্রী পাফারটি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আর পুরুষ মাছটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ডিম ফুটে বের হলে বাচ্চা মাছও আলাদা হয়ে যায়। বাবা–মায়ের সান্নিধ্য ছাড়া নিজে নিজেই বেঁচে থাকতে শেখে পাফার ফিশ।
সূত্র : বিবিসি