প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০১ পিএম
হিমশৈল এ২৩এ-র দৃশ্য। ১৫ নভেম্বর স্যাটেলাইটে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল ‘এ২৩এ’ দ্রুত গতিতে স্থান পরিবর্তন করছে। অ্যান্টর্কাটিকার হিমশৈলটি ক্রমশ উত্তর দিকে সরে সেই স্থানের দিকে যাচ্ছে যেখানে ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজ ডুবি গিয়েছিল। এ স্থানটাকে বিজ্ঞানিরা ‘হিমশৈলের গলি’ বলে থাকেন।
হিমশৈলটির প্রায় ৪০০ মিটার বা ১ হাজার ৩১২ ফুট পুরু। এর আয়তন ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ১ হাজার ৫৪৪ বর্গমাইল। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের আয়তন ১ হাজার ৫৭১ বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ৬০৭ বর্গমাইল। সে হিসাবে হিমশৈলটির আয়তন লন্ডনের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ২৩এ অ্যান্টার্কটিকার হিমশৈল ফিলচনার-রোনের অংশ ছিল। ওই বছর এটি ফিলচনার-রোনে থেকে ভেঙে ওয়েডেল সাগরে তলিয়ে যায়। সেই থেকে এটি সাগরতলে একই জায়গায় আটকে ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি হিমশৈলটি স্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ হিমশৈলটি নড়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে এ২৩এ স্থান পরিবর্তন করছে। প্রবল বাতাস ও সাগরের স্রোতের কারণে এটি দ্রুত গতিতে স্থান পরিবর্তন করছে। তবে এ২৩এর মতো প্রকাণ্ড হিমশৈলগুলো ঠিক কী কারণে স্থান পরিবর্তন করে তার সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
এত বড় হিমশৈল স্থান পরিবর্তন করায় স্থানীয় পেঙ্গুইন, সীল ও তিমি খাবার সন্ধানের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অ্যান্টার্টিকার প্রাণীদের এক ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে।
কোনো হিমশৈল যখন তার স্থান পরিবর্তন করে সেটি ধীরে ধীরে গলে যায়। এ২৩এ-ও ধীরে ধীরে গলে যাবে। তবে অনেক বড় হওয়া তা সম্পূর্ণ গলে যেতে অনেক সময় লাগবে।
যুক্তরাজ্যের হিমশৈল বিজ্ঞানী এলা গিলবার্ট ও অলিভার মার্শ বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পরে এসে হিমশৈলটি নড়ছে, বদলাচ্ছে জায়গা। সমুদ্রের স্রোতে ভেসে হিমবাহটি ক্রমে উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে।
সূত্র : আরটি, রয়টার্স