প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
টাকায় কিনা হয়! প্রচলিত এ প্রবাদটি আরও শক্তিশালী হয়, যখন দেখা যায় চোখের জল মুছে দেওয়ার জন্য মানুষ ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জাপানে এমনটি হচ্ছে। নারীদের চোখের জল মুছে দেওয়ার জন্য দেশটিতে ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে রূপবান যুবক। দেশটির একটি সংস্থা গত কয়েক বছর ধরে এ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
চোখের জল ফেলা দুর্বলতা বলে প্রচলিত ধারণার বিপরীতে কাজে নেমেছে জাপানি সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, মনের ভাব প্রকাশ করাই মনকে সুস্থ রাখার একমাত্র চাবিকাঠি। এ কারণেই সাধারণ মানুষকে প্রাণ ভরে কাঁদতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
শিল্পোন্নত জাপানের কোম্পানিগুলো এ ধারণাটি লুফে নিয়েছে। তারা তাদের কর্মচারীদের, বিশেষত নারী কর্মীদের ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠায়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের দুঃখজনক চলচ্চিত্র দেখিয়ে কাঁদায়। আর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লে তা মুছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন দুদর্শন যুবক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানের মানুষ ভীষণ কর্মব্যস্ত। অন্যদিকে তারা সহজে কান্না করে না। এতে করে তাদের চাপ অনেক বেড়ে যায়। তাই চলচ্চিত্র দেখে কান্না করার উদ্যোগটি খুব সহায়ক। এতে করে কর্মীদের মন উৎফুল্ল থাক।
জানা গেছে, টোকিওর ইকেমেসো দানশি নামের একটি সংস্থা এই পরিষেবা দিচ্ছে কর্মক্ষেত্রের চাপে ক্লান্ত শহুরে নাগরিকদের। সংস্থায় রয়েছে প্রশিক্ষিত ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়েজ’ বা সুপুরুষ যুবকের দল। তাঁরা আপনাকে কাঁদতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কান্না মুছিয়ে দিতেও পারদর্শী। ৭ হাজার ৯০০ ইয়েন, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৮০০ খরচ করলেই আপনার ডাকে সাড়া দেবে হ্যান্ডসাম উইপিং বয়েজ।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা হিরোকি তেরাই জানিয়েছেন, একসঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কাঁদলে মন ঝরঝরে হয়ে যায়। উন্নত হয় মানসিক স্বাস্থ্যের। সেই ভাবনা থেকেই কান্নার তথা মন খারাপের সঙ্গীর ব্যবসা শুরু করেছে ইকেমেসো দানশির। মন হালকা করতে মনোবিদেরাও কান্নার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সূত্র : বিবিসি