প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩ ১৭:০৪ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
শিল্পীর কল্পনায় গনোকোক্কেন ন্যানোই। ছবি: সংগৃহীত
অতিকায় ডাইনোসর নিয়ে নানা ধরনের কিংবদন্তী চালু আছে। এই বিশালদেহী প্রাণীটার বিলুপ্তি কবে হয়েছিল তা নিয়ে মোটামুটি সিদ্ধান্ত টানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হয়ে থাকে প্রায় ৬ কোটি বছর আগে এক গ্রহাণুর আঘাত পুরো ডাইনোসর প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হয়েছিল। এবার নতুন গবেষণায় এই প্রাণীটা নিয়ে একটা ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
নতুন এ গবেষণায় দেখা গেছে, আজ থেকে প্রায় ৭ কোটি ২০০ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে এক ধরনের ডাইনোসর ছিল। তাদের হাড় গবেষণা করা করে নতুন এ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে, তার মধ্যে এই প্রজাতির ডাইনোসরটিই পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
জিওনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ডাইনোসরটি ঘাসভুক ছিল। অর্থাৎ এটা ঘাস-লতা-পাতা খেয়ে ক্ষুধা মেটাত। এটার গড় দৈর্ঘ্য হতো প্রায় ১৩ ফিট। বিজ্ঞানীরা এটার নাম দিয়ে ‘গনোকোক্কেন ন্যানোই’ ডাইনোসর।
গনোকোক্কেন ন্যানোই ডাইনোসর নিয়ে বিজ্ঞানীদের কয়েক দশক ধরে গবেষণা করছেন। গবেষণাটি সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্স নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে, ২০১৩ সালেই চিলির টরেস দেল পেইন পাহাড়ের পাদদেশে মাটির গভীরে এই ডাইনোসরটির কিছু হাড় পাওয়া যায়। ওই খনন কাজে নেতৃত্ব দেয় চিলির অ্যান্টার্কটিক ইনস্টিটিউট।
প্রথম কিছু হাড় পাওয়ার পর, গবেষকদের ধারণা হয়েছিল এটা হ্যাড্রোসর প্রাজাতির ডাইনোসর হয়ে থাকবে। কিন্তু পরবর্তীতে একই স্থানে ১০০ এর বেশি হাড় পাওয়া যায়। হাড়গুলোর রঙ হলদেটে।
এরপর হাড়গুলো নিয়ে নিবিড় গবেষণা গবেষণা শুরু হয়। বের হয়ে আসতে থাকে নতুন তথ্য। গবেষণায় সাম্প্রতিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়। কিন্তু কী ধরনের প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে তা জিওনিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে হাড়গুলোর থ্রি-ডি প্রিন্টের আয়োজন চলছে। এটা সম্পন্ন হলে তা সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হবে।
গনোকোক্কেন ন্যানোই এর মধ্যে গনোকোক্কেন দুইটা শব্দ দিয়ে তৈরি। চিলির প্যাটাগোনিয়া অঞ্চলের আদিবাসীদের ভাষা থেকে এই শব্দ দুইটা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গনো অর্থ মত, অনুরূপ। আর কোক্কেন বুনোহাঁস। আর ন্যানোই স্থানীয় এক পশুপালকের নাম। এই ন্যানোই সর্বপ্রথম এই ডাইনোসরদের হাড়ের সন্ধান দিয়েছিলেন।
সূত্র: জিওনিউজ