প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩ ১২:১৫ পিএম
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩ ১২:২২ পিএম
নাসার তৈরী কৃত্রিম মঙ্গল গ্রহ। ছবি : সংগৃহীত
মঙ্গল গ্রহে অভিযানে যাচ্ছেন কানাডার বাসিন্দা কেলি হ্যাস্টন। তিনি পেশায় জীববিজ্ঞানী।
জুনের শেষে কেলিসহ আরও চারজনকে টেক্সাসের হিউস্টনের একটি জায়গায় রাখা হবে।
জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে মঙ্গল গ্রহের আদলে। সেই জায়গার পরিবেশ এবং আবহাওয়াও মঙ্গল গ্রহের মতোই।
আগামী এক বছরের জন্য ওই বিশেষ স্থান হতে চলেছে কেলিদের ‘ঘর’।
৫২ বছর বয়সি কেলি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সত্যিকারের মঙ্গলে যাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের মঙ্গলে থাকার অনুভূতি দেওয়া হবে।’
কেলি জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলায় কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবেননি যে, কখনও মঙ্গলে যাবেন। শুধু যাবেনই না, সেখানে এক বছর বসবাসও করবেন।
তার ভাষ্য মতে, ‘এখনও মাঝে মাঝে আমার কাছে সব কিছু অবাস্তব মনে হয়।’
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের আদলে তৈরি এই স্থান দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি পরীক্ষার অংশ। ভবিষ্যতে বাস্তবের মঙ্গল অভিযানের আগে এই পরীক্ষাগুলো সফল হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পাশাপাশি এই পরীক্ষায় কোনো বিরূপ ফলাফল পাওয়া গেলে আগে থেকেই মঙ্গল অভিযানের বিষয়ে সতর্ক থাকা যাবে বলেও জানিয়েছে নাসা।
নাসা আরও জানিয়েছে, কেলিসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ওই জায়গায় খুবই কষ্ট করে থাকতে হবে। জীবনযাপনের সব রকম সরঞ্জাম তারা পাবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সরবরাহও থাকবে না নাসার তৈরি করা এই বিশেষ জায়গায়।
এই এক বছরে বহির্বিশ্বের সঙ্গে কেলিদের সব রকম যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। মঙ্গলের দিনরাতের হিসাবেই সেখানে জীবন কাটাতে হবে তাদের।
এই প্রসঙ্গে কেলি বলেন, ‘আমি পুরো বিষয়টি নিয়ে খুব উত্তেজিত। এটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জের মতো।’
হিউস্টনে কেলিদের নতুন বাসস্থানের নাম ‘মার্স ডুন আলফা।’ তৈরি হয়েছে থ্রিডি প্রিন্ট দিয়ে। ১৭০০ বর্গফুটের এই বাসস্থানে শয়নকক্ষ, একটি জিম, একটি চলাফেরার জায়গা এবং চাষ করার খামার ছাড়া আর কিছু নেই।
সাক্ষাৎকারে কেলি বলেছেন, ‘কেউ যখন মার্স ডুন আলফার ভেতরে যাবে, তার অদ্ভুত অনুভূতি হবে। ওই বাসস্থানে যে চলাফেরার জায়গা রয়েছে, সেখানে আমরা মঙ্গলগ্রহে কীভাবে হাঁটতে হয় তা শিখব।’
মার্স ডুন আলফা লাল বালিতে ভরা এবং মোটা কাপড়ে ঢাকা। সেখানে তাদের মঙ্গলে থাকার মতো উপযুক্ত পোশাক দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কেলি।
কেলি ছাড়াও এই বিশেষ মঙ্গলাভিযানে একজন ইঞ্জিনিয়ার, একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন।
মার্স ডুন আলফায় প্রবেশের আগে হিউস্টনে আলাদা করে কেলিদের এক মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
অভিযানে গিয়ে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ই-মেইল মারফত যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেলি।
ভিডিও কলের সুযোগ থাকলেও তা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া করা যাবে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া ডটকম