প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৩৯ পিএম
গোবর দিয়ে সূর্যের তাপ থেকে গাড়িকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
বাইরে এখন রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি, যে কারণে বাড়ছে গরমও। আর এমন সময়ে মানুষের ত্বকের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এ ছাড়া সানবার্ন বা পোড়াত্বকও মানুষের ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিই হোক কিংবা সানবার্ন দুটো থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে সানস্ক্রিনের কোনো বিকল্প নেই। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষ নিজের ত্বকের সুরক্ষার জন্য তাই নানান দেশীয় বা ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করছে। কিন্তু এবারে যা জানা গেল তাতে অবাক না হয়ে উপায় নেই। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির ত্বককেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও তাপ থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেন এক হোমিও চিকিৎসক। আর গাড়ির জন্য ব্যবহার করা সেই সানস্ক্রিন হলো গোবর!
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুশীল সাগর তার গাড়িকে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে এমন অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। বর্তমানে খুরাই সিভিল হাসপাতালে কর্মরত তিনি।
সুশীল বলেন, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে গাড়ির ওপরে থাকা ধাতব স্তরও গরম হয়ে যায়। যা গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গাড়ির বাইরের দিকে গোবরের প্রলেপ দিলে তা গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
গোবরের প্রলেপের কারণে গাড়ির ভেতরে ঠান্ডা থাকে বলে এসি আরও ভালো ও দ্রুত কাজ করে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, জলে না লাগালে বা বৃষ্টিতে না ভিজলে গাড়িতে একবার দেওয়া গোবরের প্রলেপ প্রায় দুই মাস স্থায়ী হতে পারে।
সুশীল সাগরের অনন্য পদ্ধতির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ইনস্টাগ্রামে; যা পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এতে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে তাকে (সুশীলকে) একজন সরল মনের মানুষ মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে গোবরের আশপাশে থাকাটা তার মনেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।’
মূলত সুশীলের গাড়ির জন্য ব্যবহার কার অভিনব এ সানস্ক্রিন পদ্ধতি মানতে বেশ নারাজও হয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস