প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩৯ পিএম
প্রতিযোগিতায় গাঙচিলের মতো শব্দ করতে চেষ্টা করছেন এক অংশগ্রহণকারী। ছবি : সংগৃহীত
সমুদ্র আর গাঙচিল অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত দুটি অনুষঙ্গ। একটিকে ছাড়া আরেকটি যেন কল্পনাই করা যায় না। ইউরোপের সমুদ্রবন্দরগুলোয় এই গাঙচিলের ওড়াউড়ি চোখে পড়ার মতো। মহাদেশটিতে গাঙচিলদের শব্দ অনুকরণের সর্বশেষ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২৩ এপ্রিল, রবিবার।
এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। এবারের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলজিয়ামের দে পন্নে উপকূলীয় শহরে।
রয়টার্স জানায়, এবারের প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫০ জন অংশ নেয়। নতুনদের পাশাপাশি যারা আগে অংশ নিয়েছিল, তারাও এবার আবার অংশ নেয়। অংশগ্রহণে বয়স বা লিঙ্গগত কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। অনেকে গাঙচিলের মতো করে পোশাক পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় ছিল মোট ২০ পয়েন্ট। তার মধ্যে ১৫ পয়েন্ট ছিল কে কত নিখুঁতভাবে গাঙচিলের শব্দ অনুকরণ করতে পারে, তার জন্য। আর ৫ পয়েন্ট ছিল বেশভূষার জন্য। প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছিল একটি জুরি বোর্ড।
এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নেদারল্যান্ডসের স্থাপত্য বিভাগের ২১ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ইয়্যারমো। উচ্ছ্বসিত ইয়্যারমো বলেন, ’গতবারও আমি অংশ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ হয়নি। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।’
জুরি বোর্ডের প্রধান জ্যান সেয়েস বলেন, ’গাঙচিল একটি অসহায় পাখি। তারা মাঝেমধ্যে উপকূলবর্তী মানুষের বাসায় হানা দেয়, জোরে শব্দ করে। তাই অনেকে তাদের ওপর বিরক্ত। কিন্তু এ পাখি আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত দরকারী। এটার প্রতি সবার আরেকটু সদয় হওয়া দরকার। গাঙচিলের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোই এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।‘
সূত্র : রয়টার্স