প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
এক শিশুর কুড়িয়ে আনা আকাশ থেকে পড়া মাছ। ছবি : সংগৃহীত
প্রবল বৃষ্টিতে আকাশ থেকে অঝোরে পড়ল অজস্র জ্যান্ত মাছ। সম্প্রতি এমন ঘটনার সাক্ষী হলো অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত শহর লাজামানুর মানুষ।
যদিও আবহাওয়াবিদদের মতে, এ ধরনের ঘটনা অদ্ভুত মনে হলেও বিরল নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ডারউইন শহর থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে লাজামানুতে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারী বর্ষণ হয়েছে।
ওই ঝড়বৃষ্টির মধ্যে আকাশ থেকে ছোট ছোট জ্যান্ত মাছও ঝরে পড়তে থাকে।
সেন্ট্রাল ডেজার্ট কাউন্সিলর অ্যান্ড্রিউ জনসন জাপানাঙ্কা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রবিবার আমাদের এলাকায় ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলে। আর বৃষ্টি শুরু হতেই দেখি ছোট ছোট জ্যান্ত মাছও আকাশ থেকে পড়ছে।’
আকাশ থেকে জ্যান্ত মাছ পড়তে দেখে ঘরে রাখা যায়নি লাজামানুর শিশুদের। মাছগুলো ধরে কাচের বয়ামে বন্দি করে তারা।
লাজামানুর আকাশ থেকে আগেও জ্যান্ত মাছ ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।তাদের দাবি, এর আগে ১৯৭৪, ২০০৪ ও ২০১০ সালে এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয়েছে এ শহর।
স্থানীয় বাসিন্দা পেনি ম্যাকডোনাল্ড এবিসি নিউজকে বলেন, ‘আশির দশকেও আকাশ থেকে জ্যান্ত মাছ পড়েছিল। আমি তখন স্কুলে চাকরি করতাম। একদিন সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এই অবাক কাণ্ড! আমার বাড়ির আশপাশের রাস্তা ছোট ছোট জ্যান্ত মাছে ঢাকা পড়ে গেছে।’
এ ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, টর্নেডোর মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নদীর জল ও মাছ দুই-ই ঊর্ধ্বমুখে উড়িয়ে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যায়। এরপর সেগুলো আকাশ থেকে পড়লে এমন ঘটনা দেখা যায়।
জেফ জনসন নামে কুইন্সল্যান্ড সংগ্রহশালার এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, মাছগুলো আকাশ থেকে পড়েছে। এগুলো স্প্র্যাঙ্গলড পার্চ বা স্প্র্যাঙ্গলড গান্টার্স নামে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞরা একে অভূতপূর্ব আখ্যা না দিলেও নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় অ্যান্ড্রিউ। তার মতে, ‘আমার মনে হয় এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ।’
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট