প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩১ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩২ পিএম
টিকটকের ভিডিওতে নিজের টোট ব্যাগ নিয়ে জো গ্যাব্রিয়েল।
মানব সমাজ বিভক্ত। এ বিভক্তি নানান ধরনের। জৈবিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি। কিছু বিভক্তি বা বৈচিত্র্য ভালো। আর কিছু ক্ষতিকর। ক্ষতিকর বিভক্তির একটি চরম উদাহরণ অর্থনৈতিক বৈষম্য।
অর্থনৈতিক বৈষম্য বড় রকমের সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও তা যেন ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সেটা সবার কাম্য। কিন্তু সব সময় তা হয় না। মানুষ অনেক সময় ব্যক্তিগত বা সামাজিক সম্পর্কে অর্থনৈতিক ঐশ্বর্যের আগুন ছড়িয়ে দেয়। সামাজিক দেমাগ বা স্ট্যাটাস দেখানোর জন্য অনেকে না বোঝে এসব কাজ করে। এতে করে সম্পর্কগুলো পুড়ে যায়। অপরের কষ্ট হয়। মানসিক পীড়া তৈরি করে।
সিঙ্গাপুরে খুব একটা মামুলি ব্যাপার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে। আপাতদৃষ্টিতে অতিগৌণ হলেও ঘটনাটির সামাজিক গুরুত্ব অনেক গভীর, তাৎপর্যপূর্ণ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসের শুরুর দিকে ১৭ বছর বয়সী জো গ্যাব্রিয়েল নামের আকে তরুণী নিজের ‘টোট ব্যাগ’ নিয়ে একটি টিকটিক ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওতে জো বলেন, চার্লস এবং কেইথ ব্র্যান্ডের এই ব্যাগটি আমার জীবনের প্রথম বিলাসী পণ্য। বাবা কিনে দিয়েছেন। দাম ৮০ ডলার।
টিকটক ভিডিওটা আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হতে থাকে। শুরুর দিকে বেশিরভাগ মন্তব্য আসে নেতিবাচক, বিদ্রুপ ও উপেক্ষমূলক।
এক টিকটক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, এটাকে যদি কেউ বিলাসি পণ্য বলে, তাইলে ফাস্টফুডের দোকানের খাবার তার মুখে অমৃত ঠেকবে।
আরেক জন হাসির রিঅ্যাকশন দিয়ে লেখেন, এটাকে যে বিলাসি পণ্য বলা যায় না, এ কথা তাকে কে শিখিয়ে দেবে?
এ ধরনের আরও নেতিবাচক মন্তব্য জোকে বিমর্ষ করে তোলে। খুব হতাশ হয়ে আরেকটি টিকটক ভিডিও পোস্ট করেন জো। এতে নিজের অস্বস্তির কথা জানান তিনি।
নতুন ভিডিওতে জো বলেন, ‘টানাটানির সংসারে আমার বেড়ে ওঠা। আমার পরিবারের কখনও বিপুল অর্থ ছিল না। তাই ৮০ ডলারও আমার জন্য বিশাল কিছু। আমার পরিবারের জন্য এটা বিলাসীতা।
এই ভিডিওর পর জোর অনুসারীর সংখ্যা কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় দুই লাখ বেড়ে যায়। ভিডিওটা ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দেখেছেন। অধিকাংশ ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। জো ও তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছেন।
সূত্র: বিবিসি।