প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১১ পিএম
এটি একটি বালকের মমি। এতে স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথরের ৪৯টি অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকরা মমিটার নাম দিয়েছেন সোনালি বালক। ছবি : সংগৃহীত
নীল নদের নিম্নভূমির তীর ধরে গড়ে ওঠা মিসরীয় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর একটি। উত্তর আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের এই সভ্যতা মমির জন্য বিখ্যাত। রাজ-রাজড়া ও ফেরাওদের রূপকথার মতো এ দেশে আজ পর্যন্ত কত মমির সন্ধান পাওয়া গেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। আর যেগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদের অধিকাংশের রহস্য এখনও ভেদ করা যায়নি।
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি একটি বালকের মমি নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, মমিটি প্রায় ২৩ হাজার বছর আগের। বয়স ১৪ থেকে ১৫। আক্কেল দাঁত গজায়নি। করা হয়নি খৎনা।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সাহার সেলিম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘মমিটি আমাদের জন্য রহস্যের নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। কিছু রহস্যের জাল ছিন্ন করতে সাহায্য করছে। ইতঃপূর্বে পুরুষদের যত মমি পাওয়া গেছে তাদের সবার খৎনা করা হয়েছে। কিন্তু এটির হয়নি। তাই আমাদের ধারণা, এটি অমিসরীয় কোনো পরিবারের মমি।
‘কোনো ধনী পরিবারের এই মমিতে ৪৯টি মূল্যবান পাথর ও সোনার অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত পরকালে শান্তি লাভের আশায় মমিতে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান ধাতু ব্যবহার করা হয়।’
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত সেলিম ইকরাম নামের আরেক গবেষকও প্রায় একই ধরনের মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘যখন এই মমিগুলো করা হয়েছে তখন মিসরে অনেক বিদেশি থাকতেন। তাদের মধ্যে নুবিয়ান, গ্রিক, পারসিয়ান ও এশীয় মাইনরের কিছু দেশের মানুষ অন্যতম। এসব বিদেশিদের কেউ কেউ হয়তো মিসরের মমি করার রীতি গ্রহণ করেছিলেন।’
১৯১৬ সালে সন্ধান পাওয়া মমিটি মিসরের কেন্দ্রীয় জাদুঘরের গুদামে এতদিন অযত্নে-অবহেলায় পড়ে ছিল। সাম্প্রতিক গবেষণায় অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান যন্ত্র ও প্রয়োজনীয় নানান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মমিটাকে প্রায় অক্ষুণ্ণ রেখেই তার বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। গবেষকরা মমিটার নাম দিয়েছেন ‘সোনালি বালক’।
সূত্র : গার্ডিয়ান।