প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০২ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৫ পিএম
ফাইল ফটো
৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছে
বিমান। হিমেল শীতের মধ্যে বাইরে বইছে হু হু বাতাস। গতি ছুটিয়ে চলছে উড়োজাহাজ।
টোকিও থেকে গন্তব্য দুবাই। ১২ ঘণ্টার এই বিরামহীন যাত্রায় আকস্মিকভাবে এক নারীর
প্রসববেদনা উঠে। ছুটে আসেন ক্রুরা। শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন তারা। দেন
সুসংবাদÑ পৃথিবীর আলোতে এসেছে এক ফুটফুটে নতুন শিশু।
আমিরাত এয়ারসাইন্সের ইকে৩১৯
ফ্লাইটে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ে যাওয়ার সময় ওই নারী সন্তানের জন্ম দেন।
আমিরাত এয়ারলাইন্স বিবৃতিতে
জানিয়েছে, ‘ওই ঘটনায় যাত্রীরা সহায়তা করেছিলেন। ফলে নির্ধারিত
সময়ে বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছায়। ওই যাত্রী (মা) ও তার নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো
আছে। দুবাইয়ে পৌঁছানোর পর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ক্রু, যাত্রীদের
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
যদিও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের একটি
নির্দিষ্ট সময়ের পর আর উড়োজাহাজে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় না। এরপরও বিমানে
সন্তানের জন্মদানের ঘটনা বিরল নয়। মূলত চিকিৎসা জটিলতা ও এ সংক্রান্ত অপ্রত্যাশিত
সংকট এড়াতে তাদের বিমানযাত্রার অনুমতি মেলে না।
গত ডিসেম্বরেও এক নারী বিমানে
সন্তান জন্মদ দেন। অথচ তিনি জানতেন না যে তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা। ইকুয়েডরের গুয়াকিল
থেকে কেএলএম রয়েল ডাচের বিমানে আমস্টারমাড যাওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৫ ডিসেম্বরও সমুদ্রপৃষ্ট
থেকে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সন্তানের জন্ম দেন এক যাত্রী। কাতারগামী ওই বিমানে
ছিলেন একজন চিকিৎসক। ওই সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, এক যাত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে,
তাকে সহায়তা করার জন্য বিমানে কোনো চিকিৎসক থাকলে এগিয়ে আসেন।
তখন আয়েশা খাতিব নামের এক
চিকিৎসক ছুটে যান। সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ায় সহায়তা করেন তিনি। পরে
আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে বেশ কয়েকজন ঘিরে
ছিলেন। দেখি, তিনি যন্ত্রণায় রীতিমতো ছটফট করছেন। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিই। মাঝআকাশে
প্রসব না করালে মা ও সন্তানের একজনকেও বাঁচানো যাবে না।’ পরে চিকিৎসক আয়েশাকে সম্মান জানিয়ে সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘মিরাকেল আয়েশা’।
গত আগস্টে এক ফিলিপিনো নারী
বিমানে সন্তান জন্ম দেন। কুয়েত এয়ারওয়েজের ওই বিমানটি কুয়েত সিটি থেকে ম্যানিলায়
যাওয়ার পথে নবজাতক পৃথিবীর আলো দেখে।
সূত্র: খালিজটাইমস