প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৪ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৬ পিএম
রেনে সালিনাস রামোস। ছবি: সংগৃহীত
দেশের আইন অনুসারে সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পারেন মা। কিন্তু মায়ের কাছে ভালো নেই সন্তানেরা। এমনকি পাঁচ মাসেরও বেশি সময় সন্তানদের দেখার সুযোগও পাননি তাদের বাবা। তাই দুই মেয়েকে নিজ হেফাজতে নিতে অভিনব এক পথ অবলম্বন করলেন বাবা। করলেন লিঙ্গ পরিববর্তন। এতে করে আইন অনুসারে সন্তানদের ওপর অভিভাবকত্বের দাবি প্রতিষ্ঠা করলেন বাবা।
অভিনব এ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে। যার মধ্য দিয়ে ৪৭ বছর বয়সী রেনে সালিনাস রামোস দেশটির সরকারি নথিতে নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। দুই কন্যাকে নিজের হেফাজতে নিতে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন তিনি। রামোস বলেন, ‘ইকুয়েডরের মতো দেশে বাবা হওয়া এক ধরনের শাস্তি। এখানে আমি শুধুমাত্র একজন যোগানদাতা।’
রামোস জানান, তার দুই মেয়ে তাদের মায়ের সঙ্গে থাকে। সেখানে তারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়। এমনকি ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। এদিকে দেশের আইনে সন্তানদের হেফাজতের বিষয়ে বাবা চাইতেও মায়েদের গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। যে কারণে এবার আইনিভাবে সব নথিপত্রে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে ফেললেন তিনি।
সরকারি নথিতে নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন রামোস
রামোস বলেন, ‘দেশের আইনানুযায়ী নারীরাই তাদের সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পারে। এখন আমিও একজন নারী, আমিও একজন মা। নিজেকে আমি তাই মনে করি। আমি আমার যৌন পরিচয় নিয়ে একেবারে নিশ্চিত। আমি কেবল একজন মা হয়ে উঠতে চেয়েছি। যাতে আমি আমার সন্তানদের মায়ের ভালোবাসা ও সুরক্ষা দিতে পারি।’
তবে রামোসের লিঙ্গ পরিবর্তন তার মেয়েদের হেফাজতের দায়িত্ব তাকে দিতে পারেনি। বরং আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বিষয়টি। যে কারণে সন্তানদের অভিভাবকত্ব পাওয়ার এই আইনি লড়াই এখনো চলমান রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি।