প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৯ পিএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:১৬ পিএম
মায়ের পেটে শিশুদের নড়াচড়া বা লাথি মারা স্বাস্থ্যের লক্ষণ। ছবি : সংগৃহীত
গর্ভধারণের ১৪ সপ্তাহ পর থেকে মায়ের পেটে শিশুরা নড়াচড়া করতে শুরু করে। আরেকটু বড় হলে নড়াচড়া বাড়ে, এপাশ-ওপাশ করে, কখনও কখনও লাথি মারে। কিন্তু কেন?
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এটা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন। এতে দেখা গেছে, নড়াচড়া বা লাথি মারা শিশুদের বৃদ্ধির লক্ষণ। এতে করে শিশুদের সেন্সেরিমোটর সিস্টেম সুষম হয়। চোখ-হাত থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের যথাযথ বিকাশ হয়।
তবে এটা জেনে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছেন, মায়ের পেটে এক লাথিতে শিশুরা যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় করে, তা প্রায় ১০ পাউন্ডের সমান।
গবেষণা করতে বিজ্ঞানীরা একটি মাস্কালস্কেলেটাল কম্পিউটার মডেল ও নিউরোসাইন্টিফিক মেথড ব্যবহার করেছেন। এসব মডেল ও পদ্ধতির ফলে শিশুদের নড়াচড়া পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া শিশুদের পেশি একটা অন্যটার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে তাও বোঝা সম্ভব হয়ছে।
গবেষণায় মায়ের পেটের তিন মাস বয়সি ১০টি শিশু, ১০ দিনের মধ্যে জন্ম নিয়েছে এমন ১২টি স্বাস্থ্যবান শিশুকে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে গবেষণা ফলটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জিওনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণা সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক হোশিনুরি কানাজাওয়া বলেন, ‘সেন্সেরিমোটর সিস্টেমের বিকাশ নিয়ে ইতঃপূর্বে যেসব গবেষণা হয়েছে, সেগুলোয় শিশুদের গতিশীল বৈশিষ্ট্য, পেশি কার্যকলাপ নিয়েই মূলত কাজ করা হয়েছে। আমরা শিশুর সারা শরীরে নানান ধরনের সংকেত প্রেরণের মাধ্যমে তার নড়াচড়ার প্রয়োজনীতা বুঝতে চেষ্টা করেছি।’
নিজেদের গবেষণা ফলের ভিত্তিতে ক্র্যাম্প এবং স্প্যামস থেকে সেরিব্রাল পালসি, মাল্টিপল স্কলরোসিস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরিসহ নানান ধরনের স্নায়বিক রোগের থেরাপির উদ্ভাবন করা যাবে বলে মনে করেন হোশিনুরি কানাজাওয়া।