প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
পৃথিবীর অন্য সব দেশ থেকে একটু আলাদা উত্তর কোরিয়া। প্রাকৃতিকভাবে নয়, শাসন ব্যবস্থায়। অদ্ভুত সব নিয়ম সেখানে। একজন নাগরিক হিসেবে মোটেও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার কোনো সুযোগ সেখানে নেই। উত্তর কোরিয়ার একজন নাগরিক তিমোথি চো। তিনি নিজ দেশ থেকে পালিয়ে এখন থাকছেন যুক্তরাজ্যে। উত্তর কোরিয়ার কঠোর বিধিনিষেধ ও স্বৈরশাসন থেকে বাঁচতে নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দেশটিতে সামান্য একটি টিভি কিনলেও যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তার ধারণা দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ল্যাডবাইবেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই উত্তর কোরীয় বলেছেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়ায় আপনি একটি টিভি কেনেন, তাহলে সরকারি কর্মকর্তারা আপনার বাসায় আসবে এবং একটি অ্যান্টেনা বাদে বাকি সব অ্যান্টেনা নিয়ে যাবে। নিজ দেশের বাইরের অন্য কোনো চ্যানেল যেন আপনি দেখতে না পারেন, সেটি নিশ্চিত করা হবে। দেশীয় চ্যানেলগুলোয় কী থাকে? প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পরিবার নিয়ে অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারি, গান। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চলতে থাকে। আপনি যদি টিভি দেখেনÑ কী দেখবেন? কিম পরিবারের প্রোপাগান্ডা।’
এ ছাড়া সাধারণ চুল কাটা নিয়েও সেখানে অনেক ঝামেলা হয় বলে দাবি করেন তিমোথি চো। তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের এক, দুই অথবা তিনটি ভিন্ন স্টাইলে চুল কাটতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কারও চুল কয়েক সেন্টিমিটারও বড় থাকে তাহলে আপনি ঝামেলায় পড়বেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি ভিন্ন কোনো স্টাইলে চুল কাটেন তাহলে আপনার পরিবার সমস্যায় পড়বে। তাদের পুলিশ স্টেশনে ডাকা হবে এবং সেখানে জবাব দিতে হবে।’
এছাড়া দেশটির প্রথম নেতা কিম টু-সাংকে সেখানে ‘ঐশ্বরিক নেতা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তার ছেলে কিম জং-ইলকে ‘ঈশ্বরের সন্তান’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ কারণে প্রত্যেক জাতীয় দিবসে কিম পরিবারের মূর্তির কাছে গিয়ে সবাইকে মাথা নত করতে হয়, যা পূজার শামিল।’