প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৩ এএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
জাপানে একটি বিড়ালকে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই বিড়ালটিকে ‘মিরাকল’ নামে ডাকছে। একটি ফ্ল্যাটে এক মাসের বেশি সময় আটকে থাকার পরও প্রাণীটি বেঁচে ছিল শৌচাগারের পানি আর মালিকের ফেলে যাওয়া সামান্য বাসি খাবার খেয়ে। অবশ্য এই সময়ে বিড়ালটি অনেকটাই মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। অচেতন অবস্থায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়।
জাপানে প্রাণী অধিকার সুরক্ষায় কাজ করে ‘অ্যানিমেল রেসকিউ টানপোপো’। গত বছরের আগস্টে সংস্থাটির সদস্যরা ওসাকার একটি খালি ফ্ল্যাট থেকে বিড়ালটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন। ফ্ল্যাটের মেঝেতে খালি মদের ক্যান, আবর্জনা ও বাসি খাবার ছড়িয়ে পড়ে ছিল।
জাপানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, মিরাকল শৌচাগারের পানি আর বাসি খাবার খেয়ে কোনোমতে প্রাণ রক্ষা করেছে।
যে দলটি মিরাকলকে উদ্ধার করেছে, চিয়াকি হোন্ডা ছিলেন তাদের নেতা। তিনি বলেন, শৌচাগারের পাশে বিড়ালটিকে পড়ে থাকতে দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন সেটি জীবিত নেই। কিন্তু যখনই তিনি বুঝতে পারেন প্রাণীটি অচেতন হয়ে পড়ে আছে, দ্রুত সেটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতালে শুরুতে আক্রমণাত্মক আচরণ করত মিরাকল। তার মাথা ও পায়ে ক্ষতচিহ্ন ছিল।
পুলিশ মিরাকলের সাবেক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। ২৭ বছরের ওই তরুণী স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটের মালিককে কিছু না জানিয়ে গত জুলাই মাসে তার ভাড়া করা ফ্ল্যাটে মিরাকলকে ফেলে গিয়েছিলেন।
ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রাণী নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। জাপানের প্রাণিকল্যাণ ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে তার এক বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ ইয়েন জরিমানা হতে পারে।
মিরাকলকে দত্তক নিতে অনলাইনে আবেদনের বন্যা বইছে। তবে অ্যানিমেল রেসকিউ টানপোপো নিজেরাই বিড়ালটি রেখে দিতে চায়। কারণ সেটির হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে জটিলতা রয়েছে এবং প্রাণীটি শুধু দামি ‘ক্যাট ফুড’ খায়।