প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪২ এএম
জন আলফ্রেড টিনিসউড। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ জন আলফ্রেড টিনিসউড মারা গেছেন। যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টের এক সেবাযত্ন কেন্দ্রে (কেয়ার হোম) গত সোমবার তার মৃত্যু হয়। সেখানেই তিনি বসবাস করতেন। তার বয়স হয়েছিল ১১২ বছর। তার পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব পান জন আলফ্রেড। এ বছরের এপ্রিলে ১১৪ বছর বয়সি হুয়ান ভিসেন্ট পি রেজ মোরার মৃত্যু হলে টিনিসউড বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খাতায় নাম লেখান। তার পরিবার জানায়, জীবনের শেষ দিন সংগীত আর ভালোবাসায় মুখর ছিল তার চারপাশ।
১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে অ্যাডা ও জন বার্নার্ড টিনিসউডের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন জন টিনিসউড। একই বছর টাইটানিক জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল। ২০২০ সালে জন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের খেতাব পান।
জন আলফ্রেড সারা জীবন ছিলেন লিভারপুল ফুটবল দলের সমর্থক। ১৯০১ ও ১৯০৬ ছাড়া ক্লাবটির জেতা সবকটি ট্রফির ম্যাচ উপভোগ করেছেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জন আলফ্রেডকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের স্বীকৃতি দেয়।
এক বিবৃতিতে জনের পরিবার বলেছে, তার অনেক সূক্ষ্ম গুণ ছিল। তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সাহসী, যেকোনো সংকটে শান্ত, গণিতে মেধাবী ও একজন সদালাপী। এই গুণগুলো তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল আর্মি পেস কোরে সামরিক চাকরির সময় সুবিধা দিয়েছে। সেখানে তিনি হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষণ, আটকে পড়া সেনাদের শনাক্ত করা এবং খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করার মতো কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জনের সঙ্গে তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের পরিচয় হয় লিভারপুলে একটি নাচের অনুষ্ঠানে। ১৯৪২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কন্যা সুজানের জন্ম ১৯৪৩ সালে। এই দম্পতি ৪৪ বছর দাম্পত্য জীবন উপভোগ করেন। জনের স্ত্রী মারা যান ১৯৮৬ সালে।
শততম জন্মদিনের আগে জন আলফ্রেড সাউথপোর্টের হলিস রেস্ট কেয়ার হোমে চলে আসেন। সেখানেই কাটান জীবনের বাকি সময়। ২০১২ সালে ১০০ বছরে পা রাখার পর থেকে প্রতি বছর জন্মদিনে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠাতেন। বয়সে জনের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন রানি এলিজাবেথ। বর্তমান রাজা তৃতীয় চালর্সও কার্ড পাঠানোর এ ধারা জারি রেখেছিলেন। বিবিসি।