প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০২ এএম
ক্ষমা চেয়ে লেখা চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত
অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়েই চুরি করেছেন। বাড়িতে প্রিয়জন অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বলটুকুও আর নেই। বাধ্য হয়েই অন্যের বাড়িতে করলেন চুরি। তবে বিবেকের তাড়না তো ছিল। তাই সর্বস্বান্তদের কাছে চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন চোর।
ঘটনাটি চলতি বছরের জুলাইয়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তুতিকোরিনে ঘটে। ৭৯ বছর বয়সি চিথিরাই সেলভিনের বাড়িতে চুরি হয়। সেলভিন ও তার স্ত্রী দুজনই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাদের চার সন্তান রয়েছে। তবে ওই বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ দম্পতিই। তাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে আসতেন এক পরিচারিকাও। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩০ জুন চেন্নাইয়ে ছেলের বাড়িতে যাবেন বলে নিজের বাড়ি তালা দিয়ে বেরিয়েছিলেন সেলভিন দম্পতি। তার পরদিন সেলভিনের বাড়িতে যান পরিচারিকা। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন তিনি। তদন্তে নামে পুলিশ। আর তারপরই তাদের বিষম খাওয়ার দশা। চিঠিতে চোর নিজের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করে আশ্বাস দিয়ে গেলেন, ঠিক সময়ে চুরির সব টাকা ফেরত দিয়ে যাবেন তিনি। আজব এই চুরির তদন্তে নেমে অবাক পুলিশ।
পুলিশ এসে দেখে ঘর থেকে একাধিক জিনিস উধাও। সেলভিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চুরি গেছে অন্তত ৬০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে খোয়া গেছে দুই জোড়া সোনার কানের দুল, রুপার নুপূর। চুরি যাওয়া জিনিসের সন্ধান করতে গিয়ে একটি চিঠির খাম দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। খামের ভেতর থাকা চিঠিতে সবুজ রঙের কালিতে লেখা, আমাকে ক্ষমা করবেন। আসলে আমার বাড়িতে একজন গুরুতর অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতেই বাধ্য হয়ে চুরি করেছি। টাকাসহ চুরি করা সবকিছু এক মাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেব। তামিল ভাষায় লেখা ওই চিঠি দেখে পুলিশের অনুমানÑ হয়তো চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন ওই চোর। তাই এমন অসাধু উপায়ে উপার্জনের চেষ্টা। যদিও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ।
সূত্র : দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস