প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১০ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪০ পিএম
ওয়াশিংটনের কিটসাপ কাউন্টির শেরিফ পশু হারিয়ে যাওয়া বা কুকুর নিয়ে সমস্যায় থাকা নাগরিকদের কাছ থেকে প্রায়ই ফোন পেয়ে থাকেন। তার অফিস এসব সমস্যার সমাধান করে থাকে। তবে অক্টোবরে ভিন্ন এক সমস্যার ফোন পায় তার অফিস; যা তার অফিসের কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। শত শত র্যাকুন তার বাড়িতে ঝামেলা করছে বলে এক নারী টেলিফোনে অভিযোগ করেন।
টেলিফোনে ওই নারী জানান, ৫০ থেকে ১০০টি র্যাকুন তার বাড়িতে আসছে এবং প্রাণীগুলো আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তিনি শেরিফের মুখপাত্রকে জানান, বেশ কিছুদিন আগে কয়েকটি র্যাকুনকে তিনি খাবার দিয়েছিলেন। কয়েক দিন নিয়মিত তাদের খাবার দিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ র্যাকুনগুলো উধাও হয়ে যায়। পরে যখন ফিরে এসেছে তখন আরও কয়েকটি নয়, কয়েক ডজন র্যাকুন তার বাড়িতে হাজির হয়। সংখ্যাটা প্রায় ১০০। তারা আগের থেকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করে। বাড়ির দরজায় আঁচড় দিতে থাকে। গাড়িতে যখন তিনি ওঠেন তখন গাড়ির চারপাশে সেগুলো ভিড় করে, গাড়িতে আঁচড় দেয়। বাড়ির বাইরে যাওয়াই তার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শেরিফের মুখপাত্র কেভিন ম্যাকার্টি বলেন, ‘র্যাকুনগুলো এখন ওই নারীর বাড়িকে তাদের খাবারের উৎস ভাবতে শুরু করেছে। সুতরাং তারা সেই বাড়িতে আসছে এবং খাবার প্রত্যাশা করছে। এটা খুবই বাজে একটা সমস্যা, আর সমস্যাটা উনি নিজেই তৈরি করেছেন।’
ওয়াশিংটনের মৎস্য ও বন্য প্রাণী বিভাগের মুখপাত্র ব্রিজেত মায়ার বলেন, ‘বর্তমানে তিনি র্যাকুনগুলোকে আর খাবার দিচ্ছেন না। আশা করা হচ্ছে এর মাঝ দিয়ে একটা ইতিবাচক সমাধান বেরিয়ে আসবে।’